চতুরাশ্রম প্রথা কি ?
চতুরাশ্রম কী?
চতুরাশ্রম প্রথা কি ?
উঃ ঋগ্বৈদিক যুগের একেবারে শেষের দিকে আর্যসমাজে চতুরাশ্রম প্রথা গড়ে ওঠে। এই প্রথা অনুসারে একমাত্র শূদ্র ছাড়া ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় ও বৈশ্যদের সমগ্র জীবন চারটি আশ্রম বা পর্বে বিভক্ত ছিল। এই চারটি আশ্রম চতুরাশ্রম নামে পরিচিত। এগুলি হল ব্রহ্মচর্য, গার্হস্থ্য, বানপ্রস্থ ও সন্ন্যাস।
ব্রহ্মচর্য : সাত- আট বছর বয়সে আর্য সন্তানদের বিভিন্ন বিদ্যায় পারদর্শিতা অর্জনের জন্য গুরুগৃহে পাঠানো হত, এর নাম ব্রহ্মচর্যাশ্রম।
গার্হস্থ্য : দ্বিতীয় পর্যায়ে শিক্ষা শেষ হলে ষোলো-সতেরো বছর বয়সে গৃহে ফিরে এসে বিবাহ ও সংসার ধর্ম পালন করতো একে বলা হত ‘গার্হস্থ্যাশ্রম’ ।
বানপ্রস্থ : তৃতীয় পর্যায়ে পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়স হলে সব সাংসারিক দায়িত্ব পুত্রের হাতে অর্পণ করে তপোবনে মুনি-ঋষিদের সঙ্গে বসবাসের জন্য যাত্রা শুরু হত, এটিই ‘বানপ্রস্থাশ্রম' নামে অভিহিত।সেখানে পূজার্চনা ছাড়াও অতিথিসেবা, ভিক্ষাবৃত্তি ইত্যাদি কর্তব্য পালন করতে হতো।
সন্ন্যাস : আর সর্বশেষ পর্যায়ে ‘সন্ন্যাস আশ্রমে’ চিরমুক্তির জন্য সাধু-সন্ন্যাসীদের সঙ্গে নির্লিপ্ত জীবন যাপন করতে হত ও ঈশ্বর চিন্তায় মগ্ন থাকতে হত।
চতুরাশ্রম বিষয়ে প্রশ্ন উত্তর
1. চতুরাশ্রম কোন যুগে প্রচলিত ছিল?
উঃ ঋগ্বৈদিক যুগে।
2. আশ্ৰম ধৰ্ম গুলি কি কি?
উঃ ঋগ্বৈদিক যুগের আর্যসমাজে চারটি আশ্রম ছিল যথা- ব্রহ্মচর্য, গার্হস্থ্য, বানপ্রস্থ ও সন্ন্যাস।
3. বানপ্রস্থ শব্দের অর্থ কি?
উঃ তপোবনে অবসর
4. চতুরাশ্রমের প্রথম জীবন কি?
উঃ ব্রহ্মচর্য।
5. চতুরাশ্রমের শেষ আশ্রম কোনটি?
উঃ সন্ন্যাস
6. চতুরাশ্রমের কোন আশ্রমে যোগের বিধান ছিল?
উঃ সন্ন্যাস
7.বানপ্রস্থ কাকে বলে?
উঃ আর্যসমাজে পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়স হলে সব সাংসারিক দায়িত্ব পুত্রের হাতে অর্পণ করে তপোবনে মুনি-ঋষিদের সঙ্গে বসবাসের জন্য যাত্রা শুরু হত, এটিই বানপ্রস্থ নামে অভিহিত।