আমার প্রিয় খেলা রচনা ( ফুটবল খেলা)
আমার প্রিয় ফুটবল খেলা রচনা
ফুটবল খেলা বিদেশি খেলা। যে সব বিদেশি খেলা আমাদের দেশে এসে বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করেছে, তাদের মধ্যে ফুটবলই অন্যতম। এ খেলা আজ আমাদের প্রায় জাতীয় খেলায় পরিণত হয়েছে। শহরে এবং গ্রামে-গঞ্জে বালক-কিশোরদের কাছে এর চেয়ে প্রিয় খেলা আর নেই। এ খেলা উত্তেজনাপূর্ণ। বয়স্ক লোকেরা নিজেরা খেলতে না পারলেও এই খেলার অতি উৎসাহী দর্শক।
খেলার বর্ণনা
চামড়ার একটি গোলাকার বলের নাম ফুটবল। প্রধানত পা দিয়ে খেলা হয় বলে এই খেলার এরূপ নামকরণ হয়েছে। এই খেলার জন্য একটি বড়ো মাঠের প্রয়োজন। মাঠের দুই প্রান্ত তিনটি কাঠ দিয়ে উপরে এবং দু'পাশে সীমাবদ্ধ করে গোলপোস্ট তৈরি করা হয়। দু’দলে মিলে এই খেলা হয়। প্রতি দলে এগারোজন করে খেলোয়াড় থাকে। প্রতিপক্ষ মাঠের এক এক দিকে গিয়ে দাঁড়ায়। প্রতি দলের একজন করে গোলরক্ষক থাকে। কয়েকজন খেলোয়াড় গোলরক্ষকের কাছে দাঁড়ায়, তাদের রক্ষণ ভাগের খেলোয়াড় বলে। বাকি ক'জন খেলোয়াড় মাঠের মাঝ বরাবর দাঁড়ায়। তাদের আক্রমণ ভাগের খেলোয়াড় বলে। তাদের চেষ্টাই হল কী করে বিপক্ষের গোলে বলটি ঢুকিয়ে দেওয়া যায়।
খেলার নিয়ম
খেলার একজন রেফারি এবং দুজন লাইন্সম্যান থাকে। রেফারিই খেলার পরিচালক ও বিচারক। লাইন্সম্যানেরা রেফারিকে খেলা পরিচালনায় সাহায্য করে। ফুটবল খেলায় কতকগুলি বাধা নিষেধ মানা হয়। গোলরক্ষক ছাড়া আর কেউ হাত দিয়ে বল ছুঁতে পারে না। সেইরূপ কিছু ঘটলে ‘হ্যান্ডবল’ ডেকে রেফারি শাস্তি বিধান করেন। যে দল বেশি সংখ্যক বার অপর দলের গোলের মধ্যে বল পাঠাবে তাদেরই খেলার জয় হয়। আন্তর্জাতিক খেলা 100 মিনিট ধরে হয়। 45 মিনিট খেলা হলে রেফারি বিরতির আদেশ দেন। 10 মিনিট বিশ্রামের পর খেলোয়াড়রা রেফারির নির্দেশে আবার জায়গা পালটে খেলতে শুরু করে।
উপকারিতা
ফুটবল খেলা স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। এই খেলায় শরীরের সমস্ত অংশই সচল থাকে। সঙ্ঘবদ্ধ ও নিয়ম মেনে খেলার ফলে খেলোয়াড়দের মধ্যে সঙ্ঘবদ্ধতা ও নিয়মানুবর্তিতা গুণের প্রকাশ পায়। শৃঙ্খলা ও একতাবোধ জন্মে।প্রতিযোগিতার মনোভাবও একটা অতিরিক্ত লাভ বলে মনে হয়।
উপসংহার
নিয়ম মেনে খেললে এই খেলা মানুষের অনেক উপকার করে। আমাদের দেশে আই. এফ. এ. শিল্ড ও লিগের খেলা, মুম্বইয়ে রোভার্স কাপের খেলা, দিল্লিতে ডুরান্ড ও দিল্লি ক্লথ মিলের খেলা প্রসিদ্ধ। বিভিন্ন ভারতীয় দল এইসব প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে নিজেদের শক্তি অনুযায়ী বিজয়ী ও বিজিত হয়। বর্তমানে অন্তর্দেশীয় ও বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় ভারত অংশগ্রহণের জন্য অনুশীলন করছে।