শ্বসন ও দহনের মধ্যে পার্থক্য
শ্বসন ও দহনের মধ্যে পার্থক্য
শ্বসন একটি জৈব-রাসায়নিক প্রক্রিয়া। এক্ষেত্রে সজীব কোশের ভেতর শর্করার জারণ প্রক্রিয়া নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় পর্যায়ক্রমে এবং ধীরে ধীরে বহু উৎসেচকের সাহায্যে ঘটে। এই প্রক্রিয়া অক্সিজেনের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতিতে ঘটতে পারে। উৎপন্ন শক্তির অধিকাংশই কোশের বিভিন্ন বিপাকীয় কাজে নিয়ােজিত হয়। কিন্তু দহনে সম্পূর্ণ শক্তিই তাপ হিসেবে বের হয়।দহন কি?
দহন একটি ভৌত রাসায়নিক প্রক্রিয়া, যেখানে মুক্ত অক্সিজেনের উপস্থিতিতে জটিল জৈব বা অজৈব বস্তুর জারণের ফলে অনিয়ন্ত্রিত তাপ, আলাে ও কার্বন ডাইঅক্সাইড উৎপন্ন হয়। এক্ষেত্রে প্রক্রিয়াটি প্রােটোপ্লাজম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় না এবং উৎসেচকেরও কোনাে ভূমিকা থাকে না। কাঠ, কয়লা ইত্যাদি পােড়ানাে বা মােমবাতি জ্বালানাে দহনের উদাহরণ।
শ্বসন ও দহনের মধ্যে পার্থক্য লেখ
শ্বসন ও দহনের মধ্যে পার্থক্য গুলি হল-
শ্বসন | দহন |
---|---|
1. শ্বসন একটি জৈব-রাসায়নিক প্রক্রিয়া। | 1. দহন একটি ভৌত রাসায়নিক প্রক্রিয়া। |
2. শ্বসন কেবলমাত্র সজীব কোশে ঘটে। | 2. দহন মূলত জড় বস্তুতে ঘটে। |
3. এটি নিয়ন্ত্রিত এবং এই প্রক্রিয়ায় উৎসেচক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। | 3. এটি অনিয়ন্ত্রিত এবং এই প্রক্রিয়ায় উৎসেচক কোনাে ভূমিকা পালন করে না। |
4. শ্বসন প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন শক্তির মুক্তি ঘটে ধীরে ধীরে। | 4. দহন প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন শক্তির মুক্তি ঘটে দ্রুত। |
5. শ্বসন অক্সিজেনের উপস্থিতিতে বা অক্সিজেন ছাড়া ঘটে। | 5. মূলত অক্সিজেনের সাহায্যে ঘটে। |
6. শ্বসনকালে তাপমাত্রা সীমিত থাকে। | 6. দহনকালে তাপমাত্রা উচ্চ হয়। |
7. শ্বসনকালে উৎপন্ন শক্তি ATP অণুর মধ্যে সঞ্চিত হয়। | 7. দহনকালে উৎপন্ন শক্তি কোথাও সঞ্চিত হয় না। সবটুকু পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ে। |
৪. বহু সংখ্যক অন্তর্বর্তী যৌগ সৃষ্টি হয়। | ৪. কোনাে অন্তর্বর্তী যৌগ উৎপন্ন হয় না। |
আরো দেখুন-
শ্বসন ও পরিপাক এর মধ্যে পার্থক্য কি
এখানে উত্তর দেওয়া আছে
https://www.examone.in/2022/04/what-is-digestion.html
শ্বসন ও পরিপাক এর মধ্যে পার্থক্য উপরে লিংক দেওয়া আছে