ভক্তিবাদী আন্দোলনে শ্রীচৈতন্য ও গুরু নানকের অবদান কী ছিল?
ভক্তিবাদী আন্দোলনে শ্রীচৈতন্য ও গুরু নানকের অবদান কী ছিল?
উত্তরঃ ভক্তিবাদী আন্দোলনে শ্রীচৈতন্যের অবদান: বাংলাদেশে তথা পূর্ব ভারতে ভক্তিবাদের সবচেয়ে বড়াে প্রবর্তক ছিলেন শ্রীচৈতন্যদেব (১৪৮৫-১৫৩৩ খ্রিঃ)। ইনি নবদ্বীপে জন্মগ্রহণ করেন। শিশুকাল থেকে তিনি বিদ্যানুরাগী ও ধর্মভাবাপন্ন ছিলেন। চল্লিশ বছর বয়সে সন্ন্যাস ধর্ম গ্রহণ করার পর তিনি শ্রীচৈতন্য নামে পরিচিত হন। ভক্তিবাদের প্রচারকদের মধ্যে শ্রীচৈতন্যই সমধিক প্রসিদ্ধ। তার প্রচারিত ধর্মের মূল কথা ছিল বৈরাগ্য ও ভগবানের প্রতি গভীর প্রেম। তিনি জাতিভেদ প্রথা মানতেন না। জাতিধর্ম নির্বিশেষে অনেকেই তার শিষ্যত্ব গ্রহণ করেছিলেন। তার ধর্মের বাণী বাংলার ধর্ম জগতে এক প্রবল প্রভাব বিস্তার করেছিল। আজও তিনি শ্রীকৃষ্ণের অবতাররূপে পূজিত হয়ে থাকেন।
ভক্তিবাদী আন্দোলনে গুরু নানকের অবদানঃ
লাহােরের কাছে তালবন্দী গ্রামে ১৪৬৯ খ্রিস্টাব্দে নানক জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন শিখধর্মেরও প্রথম গুরু। কবীরের মতাে তিনিও বলতেন যে, হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে কোনাে পার্থক্য নেই। হিন্দু ও ইসলাম ধর্মের কুসংস্কার, অনুষ্ঠান ইত্যাদি তিনি মানতেন না। নানকের শিষ্যরা তার উপদেশ গুলি একটি গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করেন। এই গ্রন্থের নাম গ্রন্থসাহেব।
আরো দেখুন-