চিত্রসহ শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত সৃষ্টির প্রক্রিয়াটি বর্ণনা করো।
চিত্রসহ শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত সৃষ্টির প্রক্রিয়াটি বর্ণনা করো
জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু যদি কোনাে উঁচু পর্বতগাত্রে প্রতিহত হয়, তাহলে ওই বায়ু উপরে ওঠতে থাকে। পর্বতের উঁচু অংশে তুষার থাকলে তার সংস্পর্শে অথবা উর্ধ্বে উঠবার ফলে সেই বায়ু শীতল হলেই পর্বতের প্রতিবাত ঢালে বৃষ্টিপাত ঘটায়। এইরূপ বৃষ্টিপাতকে শৈলােৎক্ষেপ বৃষ্টি বলে।
জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু পর্বত বা মালভূমির প্রতিবাত ঢালে বাধা পেয়ে ওপরের দিকে উঠতে থাকে এবং ঘনীভূত হয়ে প্রতিবাত সালে প্রবল বৃষ্টিপাত ঘটায়। শৈলােৎক্ষেপ পদ্ধতিতে বৃষ্টিপাত অধিক হয়, যদি—(১) পর্বতের উপরিভাগ বরফাবৃত থাকে, (২) সমুদ্রের নিকটে উঁচু পর্বত থাকে এবং (৩) প্রবল বেগে বাহিত জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু সমকোণে বাধা পায়।
উদাহরণঃ মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলে এই প্রকার বৃষ্টিপাত সবচেয়ে বেশি ঘটে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর আরবসাগরীয় শাখা পশ্চিমঘাট পর্বতের পশ্চিম শৈলােৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত ঢালে (প্রতিবাত ঢালে), মৌসুমি বায়ুর বঙ্গোপসাগরীয় শাখা মেঘালয়ের দক্ষিণ ঢালে ও হিমালয়ের দক্ষিণ ঢালে এই পদ্ধতিতে বৃষ্টিপাত ঘটায়।