তিমির অভিযোজন
তিমির অভিযােজন
তিমির অভিযােজন : তিমি স্তন্যপায়ী এবং গৌণ জলজ প্রাণী। এদের পূর্ব পুরুষরা স্থলে বাস করতাে। বিশেষ কারণে এরা জলে বসবাস করে। জলে বসবাস করার জন্য এদের নিম্নলিখিত তিমির অভিযােজনগত বৈশিষ্ট্য গুলি হল -
1. দেহ মাকু আকৃতি বিশিষ্ট।
2. অগ্রপদ ফ্লিপারে রূপান্তরিত, পশ্চাদপদ অনুপস্থিত, পৃষ্টদেশে একটি মাংসল পাখনা থাকে এবং পুচ্ছে অনুভূমিকভাবে অবস্থিত চ্যাপ্টা, প্রসারিত দ্বিখণ্ডিত মাংসল পাখনা থাকে, যা তিমিকে দিক পরিবর্তনে সাহায্য করে।
3. ত্বক লােমহীন, ত্বকের নীচে ব্লবার (blubber) নামক পুরু চর্বির স্তর থাকে, এর সাহায্যে এদের তাপ নিয়ন্ত্রিত হয়।
4. এদের চক্ষুর লেন্স গােলাকার, করণিয়া চ্যাপ্টা, নেত্রপল্লব সংকুচিত, জল থেকে চোখকে রক্ষা করার জন্য হার্ডারিয়ান গ্রন্থি (harderian gland) থেকে একরকম রস ক্ষরিত হয়।
5. এদের বহিঃকর্ণ থাকে না, কর্ণপটহ খুব পুরু, মধ্যকর্ণের অস্থিত্রয় পরস্পরের সঙ্গে জুড়ে একটি শক্ত অস্থিতে পরিণত হয়েছে।
6. এদের বহিঃনাসারন্ধ্র তুন্ডের অগ্রভাগে অবস্থিত। বহিঃনাসারন্ধ্র পথ ইচ্ছাধীন নিয়ন্ত্রিত, ফলে সমগ্র দেহ জলে ডুবে থাকা অবস্থায় বায়ু থেকে O2 গ্রহণ করতে পারে।
7. এদের অস্থি হালকা, অস্থির বায়ু-প্রকোষ্ঠগুলি তেল দিয়ে পূর্ণ থাকে।
8. স্ত্রী প্রাণীদের স্তনগ্রন্থি কুঁচকি অঞ্চলে অবস্থিত। পুরুষ প্রাণীর শুক্রাশয় উদর গহ্বরে অবস্থিত।
9. এদের দেহের সর্বত্র রেটিমিরাবিলিয়া নামে রক্তজালিকা থাকে, যা বেশী পরিমাণ সঞ্চয় করে রাখে।
10. এদের ফুসফুস খুব বড় এবং স্থিতিস্থাপক। ফলে এরা একবার শ্বাসগ্রহণ করে প্রায় 30 মিনিট জলে নিমজ্জিত থাকতে পারে।
উপরের থেকে যেসব প্রশ্ন হতে পারে-
1. তিমির অভিযোজনগত বৈশিষ্ট্য গুলি কি কি?
উঃ উত্তর ওপরে।
2. ব্লাবার কোথায় থাকে?
উঃ তিমির ত্বকের নিচে।
3. হার্ডারিয়ান গ্রন্থি কোথায় থাকে?
উঃ তিমির চোখে
4. তিনি একবার শ্বাস নিলে কতক্ষণ জলে থাকতে পারে?
উঃ 30 মিনিট।
আরও পড়তে- 1. উটের অভিযোজন গত বৈশিষ্ট্য গুলি কি কি?