বালি ও সাধারণ লবণের মিশ্রণকে কীভাবে পৃথক করবে তা চিত্রসহ বর্ণনা করাে।
খাদ্য লবন ও বালির মিশ্রণকে কিভাবে পৃথক করব
উত্তর: পরিস্রাবণ প্রণালী দ্বারা বালি ও সাধারণ লবণের মিশ্রণ থেকে ওদের পৃথক করা যায়।
পরীক্ষার প্রয়ােজনীয় দ্রব্য: ফিলটার কাগজ, ফানেল, কাচদণ্ড, বিকার স্ট্যান্ড, খাদ্যলবণ, জল ও বালি।
পরীক্ষা পদ্ধতি: (i) একটি বিকারে কিছুটা জল, বালি ও সাধারণ লবণ নিয়ে মিশ্রণটিকে ভালােভাবে নাড়া হল যাতে জলে সাধারণ লবণ সম্পূর্ণভাবে দ্রবীভূত হয়।
(ii) একটি গােলাকার ফিলটার কাগজ নিয়ে কাগজটিকে সমান দু'ভাগে ভাজ করে আবার ওই অর্ধবৃত্তাকার ফিলটার কাগজকে আবার সমান দু'ভাগে ভাগ করা হল। এখন কাগজটি সমান চার ভাগে বিভক্ত হল। একপাশে তিন ভাগ আর একপাশে এক ভাগ রেখে কাগজটিকে শঙ্কু আকৃতির করা হল।
(iii) ফিলটার কাগজের শঙ্কুটিকে একটি ফানেলের মধ্যে আস্তে আস্তে এমনভাবে রাখা হল যেন সমস্ত তরল ফিলটার কাগজ ভেদ করে ফানেল দিয়ে যায়। আগে কয়েক ফোঁটা নুন জল ফেলে কাগজটিকে ফানেলের গায়ে ভালােভাবে লাগাতে হবে।
(iv) ক্ল্যাম্প ও স্ট্যান্ডের সাহায্যে ফিলটার পেপার লাগানাে ফানেলটি আটকিয়ে ফানেলের নীচে একটি খালি বিকার রাখা হল।
(v) নুন, বালি ও জলের মিশ্রণটিকে আস্তে আস্তে কাচদণ্ডের গা বেয়ে ফানেলের ফিলটার কাগজের উপর ফেলা হতে থাকল।
(vi) ফিলটার কাগজের সূক্ষ্ম ছিদ্র দিয়ে নুনজল নীচের বিকারে সঞ্চিত হল একে পরিস্রুত বলে। ফিলটার কাগজের উপর বালি আটকে গেল। এই আটকে থাকা বালিকে অবশেষ বলে। ফিলটার কাগজে আটকে থাকা বালিকে কয়েকবার
গরম জল দিয়ে ধােয়া হল।
(vii) ফিলটার কাগজে আটকে থাকা বালিকে শুষ্ক করা হল। পরিশ্রুত হিসেবে পাওয়া সাধারণ লবণের দ্রবণকে একটি পাত্রে নিয়ে উত্তপ্ত করলে জল। বাষ্পীভূত হয় এবং পাত্রে সাধারণ লবণ পড়ে থাকে।