তুঁতের দ্রবণ থেকে তুঁতে ও জলকে কীভাবে পৃথক করব চিত্রসহ বর্ণনা করাে।
তুতে ও জলকে কীভাবে পৃথক করব
তুঁতের দ্রবণ থেকে তুতে ও জলকে কীভাবে পৃথক করব চিত্রসহ বর্ণনা করাে।
উত্তরঃ তুঁতে বা কপার সালফেটের দ্রবণ থেকে তুঁতে ও জলকে পাতন প্রণালী দ্বারা পৃথক করা যায়।
প্রয়ােজনীয় দ্রব্য : পাতন ফ্লাক্স, লিবিগ শীতক নল, গ্রাহক ফ্লাক্স, ক্ল্যাম্প, স্ট্যান্ড, বুনসেন বার্নার, তারজালি যুক্ত ত্রিপদ স্ট্যান্ড এবং শীতকনলে ঠাণ্ডা জল পাঠানাের উপযুক্ত ব্যবস্থা।
পরীক্ষা পদ্ধতি: (i) একটি পাতন ফ্লাক্সে র্তুতের জলীয় দ্রবণ নিয়ে ফ্লাক্সের মুখ ছিদ্রযুক্ত কর্ক দিয়ে বন্ধ করা হল।
(ii) ফ্লাক্সটিকে ক্ল্যাম্পের সাহায্যে ত্রিপদ স্ট্যান্ডের তারজালির উপর (উপরের ছবির মতাে) বসানাে হল। একটি বাঁকানাে নির্গম নল ফ্লাক্সের মধ্যে এমনভাবে প্রবেশ করানাে হল যেন নির্গমনলের এক প্রান্ত ফ্লাক্সের তরলের কিছু উপরে থাকে।
(iii) নির্গমনলের অপর প্রান্ত কর্ক-এর সাহায্যে লিবিগ শীতকনলের সাথে যুক্ত করা হয়। লিবিগ শীতকনলের শেষপ্রান্ত গ্রাহক ফ্লাক্সের সঙ্গে কর্কের মাপযুক্ত।
(iv) এবার বুনসেন দীপের সাহায্যে পাতন ফ্লাক্সটিকে উত্তপ্ত করা হতে লাগল। এক সময় জল ফুটতে শুরু করল উৎপন্ন জলীয় বাষ্প লিবিগ শীতকের মধ্যে দিয়ে যাবার সময় শীতল ও ঘনীভূত হয়ে আবার জলে পরিণত হয়ে গ্রাহক ফ্লাক্সে জমা হয়। এই গ্রাহক পাত্রের জল স্বচ্ছ ও বিশুদ্ধ। এই জলকে পাতিত জল বলা হয়। ফ্লাক্সের জল যখন ফুটতে ফুটতে প্রায় শুকিয়ে যায় তখন বুনসেন দীপটি সরিয়ে নিতে হয়। ফ্লাক্সের তলায় যে নীল আস্তরণ জমা হয় তা অবশেষ। এইভাবে শেষ তুতে এভাবে কুঁতে ও জলীয় দ্রবণ থেকে তুতে ও জলকে পৃথক করা হয়।
[ লিবিগ শীতক হল কাচের জ্যাকেট পরানাে একটি কাচনল। কাচল জ্যাকেটের মাঝখানে বেশ কিছুটা ফাঁকা। জ্যাকেটে উপর-নীচের দিকে দুই পার্শ্বনল আছে। নীচের নল দিয়ে ঠাণ্ডা জল ভরা হয়, উপর দিয়ে কাচনলের ভেতর বাষ্প শীতল করে গরম হয়ে উপরের পার্শ্বনল দিয়ে বের হয়। ]