খাদ্য ও ভিটামিন

খাদ্য ও ভিটামিন

খাদ্য

খাদ্য কাকে বলে?

যেসব আগ্রাহ্য সামগ্রী গ্রহণ করলে জীবদেহের বৃদ্ধি, পুষ্টি, শক্তি, উপাদান ও হয় পূরণ হয়, তাকে খাদ্য বলে।

খাদ্যের উপাদান কয়টি ও কী কী ?

উঃ মানুষের খাদ্যবস্তুকে প্রধানত ছয়টি উপাদানে ভাগ করা যায় যথা-
1. শ্বেতসার বা শর্করা জাতীয় পদার্থ (Carbohydrates)
2. প্রোটিন ( Protein)
3. খনিজ পদার্থ (Minerals.)
4. চর্বি ও স্নেহজাতীয় পদার্থ (Fat)
5. ভিটামিন বা খাদ্যপ্রাণ (Vitamin)
6. জল (water)

1. শ্বেতসার বা শর্করা (Carbohydrates)

শর্করা জাতীয় খাবার হল- চাল, আটা, খই, মুড়ি, এবং শর্করা জাতীয় সবজি হল- আলু, কচু ইত্যাদি কন্দ জাতীয় খাদ্য এবং মধু, গুড়, চিনি, মিছরিতেও শর্করা জাতীয় খাবার পাওয়া যায়।যারা বেশী পরিশ্রম করে তাদের এই খাদ্য দরকর। শিশু দেহের বৃদ্ধির জন্যও এই খাদ্য দরকার।

2. প্রােটিন (Protin)

প্রোটিনযুক্ত খাবার হল- মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, ডাল, মটরশুটি, সিম জাতীয় তরকারিতে। দেহের গঠনের জন্য প্রােটিন দরকার। প্রোটিনের একক হল অ্যামাইনো অ্যাসিড

প্রোটিনের অভাবজনিত রোগ

প্রোটিনের অভাবে কোয়াশিওকোরম্যারাসমাস রোগ হয়।
কোয়াশিওকোর প্রোটিনের অভাবে শিশুদের এরকম রোগ দেখা যায়। এক্ষেত্রে দেহ ফুলে যায়, ত্বক খসখসে দেখতে আঁশের মতো হয় এবং চুল কমে যায়, বৃদ্ধি লোপ পায়।
ম্যারাসমাস প্রোটিনের অভাবে শিশুদের এরকম রোগ দেখা যায়। এ রোগে হাত পা সরু হয়ে যায় এবং মুখমন্ডল বুড়োদের মত দেখায়।

3. খনিজ পদার্থ (Minerals)

খনিজ পদার্থ পাওয়া যায় টাটকা ফল, সবজি, ডিম, দুধ, মেটে, তাজা সবুজ শাকপাতায়। শরীরের লবণ ও আয়ােডিনের ক্ষতিপূরণের জন্য এর দরকার।
জীবনের প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ গুলি হল - i) লৌহ, ii) ক্যালসিয়াম, iii) ফসফরাস, iv) আয়োডিন, v) সোডিয়াম, vi) পটাশিয়াম, vii) ম্যাগনেসিয়াম

i) লৌহ

লৌহের উৎস: যেসব শাকসবজি থেকে লৌহ পাওয়া যায় ফুলকপির পাতা, নোটে শাক, নিম পাতা প্রভৃতি সবুজ সবজি এবং ভুট্টা, গম, বাদাম, বাজরা ইত্যাদি থেকেও পাওয়া যায়।
যেসব প্রাণী থেকে লৌহ পাওয়া যায় মাছ, মাংস, ডিম ইত্যাদি।
লৌহের অভাবজনিত ফল
লৌহের অভাবে উদ্ভিদের ক্লোরোসিস বা পান্ডুরোগ হয়। এবং লৌহের অভাবে প্রাণীদেহে রক্তশূন্যতা বা অ্যানিমিয়া রোগ হয়।

ii) ক্যালসিয়াম

ক্যালসিয়ামের উৎস- যেসব উদ্ভিদ থেকে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়- ডাল, ফুলকপি, লেবু, গাছের ফল, পালংশাক, বাঁধাকপি ইত্যাদি ‌‌‌‌‌‌‌‌এবং এবং যেসব প্রাণী থেকে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায় ডিম, দুধ, চুনো মাছ বা ছোট মাছ ইত্যাদি ।
ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত ফল
ক্যালসিয়ামের অভাবে উদ্ভিদের মূলের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। এবং প্রাণী দেহে ক্যালসিয়ামের অভাবে রিকেট ও অ্যাস্টিওম্যালেসিয়া রোগ হয়।

iii) ফসফরাস

ফসফরাস যে জাতীয় খাবারে পাওয়া যায় উদ্ভিজ্জ- দানা শস্য, শিম মটরশুঁটি ইত্যাদি।
প্রাণিজ- দুধ, ডিম, মাছ, মাংস ইত্যাদি থেকে।
ফসফরাস এর অভাবজনিত ফল
ফসফরাসের অভাবে প্রাণীদেহে রিকেট অস্হিক্ষয়, দন্ত ক্ষয় ইত্যাদি রোগ দেখা যায়। উদ্ভিদ দেহে ফসফরাসের অভাবে সাধারণ বৃদ্ধি ভালো হয় না এবং পাতা অসময়ে ঝরে যায়, পাতা নীল বর্ণ ধারণ করে।

iv) আয়োডিন

আয়োডিনযুক্ত খাবার হল সামুদ্রিক মাছ, সামুদ্রিক মাছের যকৃৎ নিঃসৃত তেল, সামুদ্রিক লবণ, সামুদ্রিক উদ্ভিদ, আয়োডিন মিশ্রিত পানীয় জল ইত্যাদি।
আয়োডিনের কাজ
আয়োডিন এর প্রধান কাজ হল প্রাণীদেহে থাইরক্সিন গঠনে সহায়তা করা এবং বিভিন্ন বিপাক নিয়ন্ত্রণ করা
আয়োডিনের অভাবজনিত ফল
আয়োডিনের অভাবে প্রাণীদেহে গলগন্ড রোগ হয় এবং রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।

v) সোডিয়াম

সোডিয়ামের উৎস- খাদ্য লবণ, দুধ, শাকসবজি, খর-জল ইত্যাদি থেকে সোডিয়াম পাওয়া যায়।
সোডিয়াম এর অভাবজনিত ফল
সোডিয়ামের অভাবে রক্ত পাতলা হয়ে যায় দেহ শীর্ণ হয় এবং ওজন কমে যায় তাছাড়া স্নায়বিক বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় ও বৃক্কের কাজে ঘাটতি দেখা যায়।

vi) পটাশিয়াম

পটাশিয়াম এর উৎস
উদ্ভিজ্জ- শাকসবজি এবং ফলমূলে।
প্রাণিজ: মাছ, মাংস ও ডিমে।
পটাশিয়াম এর অভাবজনিত ফল
পটাশিয়ামের অভাবে প্রাণীদেহে স্নায়বিক বিশৃংখলা অনিয়মিত হৃদস্পন্দন পেশী সংকোচন শিথিলতা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যায়।
এবং পটাশিয়ামের অভাবে উদ্ভিদ দেহে সামগ্রিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয় পাতায় বাদামী বর্ণের ছোপ পড়ে এবং পাতা ঝরে যায়।

vii) ম্যাগনেসিয়াম

ম্যাগনেসিয়াম এর উৎস
উদ্ভিজ্জ- সবুজ বা টাটকা শাকসবজি
প্রাণিজ- মাংস, সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদি।
ম্যাগনেসিয়ামের অভাবজনিত ফল
ম্যাগনেসিয়াম এর অভাবে উদ্ভিদ দেহে ক্লোরোসিস রোগ হয় এবং প্রাণীদেহে হৃদস্পন্দনের হার বেড়ে যায় অস্হিভঙ্গুর হয় এবং স্নায়ু দুর্বল দেখা যায়।

4. চর্বি বা স্নেহজাতীয় পদার্থ (Fat)

চর্বি বা স্নেহজাতীয় পদার্থের উৎস: তিল, নারকেল, সরিষা, বাদাম ইত্যাদি তৈলবীজে। ঘি, মাখন, মাছের তেল ইত্যাদি। শরীরের তাপ সৃষ্টির জন্য এর প্রয়ােজন।
ফ্যাটের গঠনগত একক হল ফ্যাটি অ্যাসিড ও গ্লিসারল।

5. ভিটামিন বা খাদ্যপ্রাণ (Vitamin)

ভিটামিনের সংজ্ঞা: যে বিশেষ জৈব পরিপােষক সাধারণ খাদ্যে অতি অল্প পরিমাণে থেকে দেহের স্বাভাবিক পুষ্টি ও বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং রােগ প্রতিরােধক শক্তি বৃদ্ধি করে, তাকে ভিটামিন বলে।
প্রায় সব খাদ্যেই কমবেশী থাকে। বেঁচে থাকার জন্য এর দরকার। ভিটামিন হল আমাদের দেহযন্ত্রকে চালু রাখার প্রয়ােজনীয় তেল।
দ্রাব্যতা অনুসারে ভিটামিনকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয় যথা - 
a) তেলে বা স্নেহ পদার্থে দ্রবণীয় ভিটামিন 
b) জলে দ্রবণীয় ভিটামিন
তেলে বা স্নেহ পদার্থে দ্রবণীয় ভিটামিন গুলি হলো- A, D, E, K এবং
জলে দ্রবণীয় ভিটামিন গুলি হল - B, C এবং P

ভিটামিন A

ভিটামিন এ রাসায়নিক নাম রেটিনল
ভিটামিন এ এর উৎস
গরু, ছাগল, মােষের দুধে, ডিমের কুসুম,মাছ, গাজর, টমেটো, পালং, বাঁধাকপি, প্রাণীদের লিভারের তেলে।
ভিটামিন এ এর অভাবজনিত লক্ষণ
ভিটামিনের এ অভাবে i) রাতকানা, অন্ধত্ব বা জেরপথ্যালমিয়া রোগ হয়। 
ii) ফিনোডার্মা অর্থাৎ ত্বক ব্যাঙের চামড়ার মত খসখসে হয়ে যায়।
iii) পরিপাক নালীর শ্বাসনালী আবরণী কলা স্নায়ু ক্ষয় হয়। 
iv) মেরুদন্ড এবং করোটির অস্থি বৃদ্ধি পায়। 
v) বৃক্কে পাথর সৃষ্টি হয়।

ভিটামিন B

ভিটামিন বি এর রাসায়নিক নাম 
B1 রাসায়নিক নাম থিয়ামিন
B2 রাসায়নিক নাম রাইবোফ্লাভিন
B3 - প্যানটোথ্যানিক অ্যাসিড
B4 - কোলিন
B5 - নিয়াসিন
B6 - পাইরিডক্সিন
B12 - সায়ানোকোবালামিন
ভিটামিন বি এর উৎস
ভাতের ফ্যান, আস্ত গম, যব, মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, মেটে, ইস্ট, চিনাবাদাম, পােস্ত, কাঠাল বীচি, কচি শাক-সজিতে।
ভিটামিন বি এর অভাবজনিত লক্ষণ
ভিটামিন-‘বি’-র অভাবে বেরিবেরি( ভিটামিন B1 এর অভাবে হয়), পেলেগ্রা ( ভিটামিন B5 এর অভাবে হয়), ক্ষুধামান্দ্য, কোষ্ঠবদ্ধতা, স্নায়বিক দৌর্বল্য, পক্ষাঘাত, ঠোটের বা মুখের ঘা, চর্মরােগ হয়।

ভিটামিন C

ভিটামিন সি এর রাসায়নিক নাম অ্যাসকরবিক অ্যাসিড।
ভিটামিন সি এর উৎস
লেবু, কমলালেবু, আমলকী, আনারস, আঙ্গুর, টমেটো, আম, পালংশাক, বাঁধাকপি, পেঁয়াজ ইত্যাদি টক জাতীয় ফলগুলিতে।
ভিটামিন সি এর অভাবজনিত লক্ষণ
ভিটামিন-‘সি’র অভাবে স্কার্ভি, দুর্বলতা, ফ্যাকাশে মুখ, দাঁতের মাড়িতে ক্ষত ও রক্ত পড়া, খােস-পাচড়া ইত্যাদি হয়।

ভিটামিন D

ভিটামিন ডি এ রাসায়নিক নাম ক্যালসিফেরল
ভিটামিন ডি এর উৎস
ভিটামিন-‘ডি’ পাওয়া যায় কডলিভার ওয়েল, হেলিবুট অয়েল, শার্ক অয়েল ইত্যাদি মাছের তেলে।
ভিটামিন ডি এর অভাবজনিত লক্ষণ
ভিটামিন-‘ডি’র অভাবে শিশুদের রিকেট এবং বড়দের অস্টিওম্যালেসিয়া , দাঁতে পােকা ইত্যাদি রােগ হয়।

ভিটামিন E

ভিটামিন ই এর রাসায়নিক নাম টোকোফেরল
ভিটামিন ই এর উৎস
ভিটামিন-ই প্রায় সব খাদ্যেই কম বেশী থাকে।
উদ্ভিজ্জ- গমের অংকুর নিঃসৃত তেল, লেটুস, প্রভৃতি পাতাযুক্ত শাকসবজির মটরশুটি অঙ্কুরিত ছোলা এবং অন্যান্য উদ্ভিজ্জ তেল।
প্রাণিজ- দুধ, মাখন ও ডিমের কুসুম।
ভিটামিন ই এর অভাবজনিত লক্ষণ
ভিটামিন ই এর অভাবে রক্তকণিকা ক্ষতিগ্রস্থ হয়, বন্ধ্যাত্ব, জরায়ুর মধ্যে ভ্রুণের মৃত্যু, স্তন দুগ্ধ নিঃসরণ কমে যাওয়া।
ভিটামিন K
ভিটামিন কে এর রাসায়নিক নাম ফাইলোকুইনন।
ভিটামিন কে এর উৎস
ভিটামিন-‘কে’ পাওয়া যায়—মাখন ও টাটকা শাক সবজিতে।
ভিটামিন কে এর অভাবজনিত লক্ষণ
ভিটামিন ‘কে’র অভাবে রক্ত জমাট বাঁধে না এবং হেমারেজ বা রক্তক্ষরণ হয়।
ভিটামিন P
ভিটামিন পি এর রাসায়নিক নাম সাইট্রিন।
ভিটামিন পি এর উৎস
এই ভিটামিনটি ভিটামিন সি এর মত কারণ এই ভিটামিনটি ভিটামিন সি এর সঙ্গে অবস্থান করে।
ভিটামিন বি এর অভাবজনিত লক্ষণ
ভিটামিন বি এর অভাবে স্কার্ভি রোগ হয় এবং দাঁতের গোড়া থেকে রক্তক্ষরণ হতে দেখা যায়।

ভিটামিনের গুরুত্বপূর্ণ অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর

1. কার্যকারিতা অনুসারে খাদ্য কয় প্রকারের? 
উঃ কার্যকারিতা অনুসারে খাদ্যকে প্রধান দুই ভাগে ভাগ করা হয় - 
i) দেহ পরিপোষক খাদ্য
ii) দেহ সংরক্ষক খাদ্য
2. দেহ পরিপােষক খাদ্যের দুটি উদাহরণ দাও।
উঃ দেহ পরিপোষক খাদ্য হলো শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট, আমিষ বা প্রোটিন, স্নেহপদার্থ পেয়ার বা লিপিড।
[দেহ পরিপোষক খাদ্য: যেসব খাদ্য দেহের গঠন, বৃদ্ধি ও শক্তি উৎপাদনের সহয়ককারী তাদের দেহ পরিপোষক খাদ্য বলে।]
3. দেহ সংরক্ষক খাদ্যের দুটি উদাহরণ দাও। 
উঃ দেহ সংরক্ষণ খাদ্যের উদাহরণ হল খাদ্যপ্রাণ বা ভিটামিন, খনিজ পদার্থ বা মিনারেলস্।
[ দেহ সংরক্ষক খাদ্য: যেসব খাদ্য দেহকে রোগ সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে কিন্তু শক্তি উৎপাদনের সহায়ক নয় তাদের দেহ সংরক্ষক খাদ্য বলে।]
4. খাদ্যের দুটি উপাদান কি কি? 
উঃ খাদ্যের ছয়টি উপাদান থাকে শর্করা, প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন, খনিজ লবণ এবং জল।
5. একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ লােকের প্রত্যহ কত
ক্যালরি শক্তির প্রয়ােজন ?
উঃ একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ লােকের প্রত্যহ 2500 - 3000 kcal শক্তির প্রয়োজন।
6. শর্করা বা কার্বোহাইড্রেটের মৌলিক উপাদানগুলি কি কি? 
উঃ কার্বন হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন।
7. শর্করা জাতীয় খাদ্যের দুটি প্রধান উৎস উল্লেখ কর। 
উঃ ধান বা চাল এবং দুধে।
8. শর্করায় হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন কি অনুপাতে থাকে? 
উঃ 2:1 অনুপাতে থাকে।
9. মনােস্যাকারাইডের উদাহরণ কি? 
উঃ গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, গ্যালাকটোজ।
10. ডাইস্যাকারাইডের উদাহরণ কি? 
উঃ ল্যাকটোজ, মল্টোজ, সুক্রোজ
11. পলিস্যাকারাইডের উদাহরণ কি? 
উঃ শ্বেতসার, গ্লাইকোজেন, সেলুলোজ।
12. কোন্ বৈজ্ঞানিক ভিটামিন-এর প্রথম নামকরণ করেন? 
উঃ 1911 খ্রিস্টাব্দে ক্যাশিমির ফাঙ্ক ভিটামিন এর নামকরণ করেন।
13. দুটি প্রাে-ভিটামিনের উদাহরণ দাও। 
উঃ আর্গেস্টেরল ভিটামিন ডি এর প্রো ভিটামিন, ক্যারোটিন ভিটামিন এ এর প্রো ভিটামিন।
14. দুটি অ্যান্টি-ভিটামিনের উদাহরণ দাও। 
উঃ পাইরিথিথিয়ামিন, গ্যালাক্টোফ্লাভিন।
15. ভিটামিন Aর প্রাে-ভিটামিন কি?
উঃ ক্যারোটিন ভিটামিন Aর প্রাে-ভিটামিন।
16. ভিটামিন Dর প্রাে-ভিটামিন কি? 
উঃ আর্গেস্টেরল ভিটামিন Dর প্রাে-ভিটামিন।
17. থিয়ামিনের অ্যান্টি-ভিটামিন কি? 
উঃ পাইরিথিথিয়ামিন।
18. রাইবােফ্লাভিনের অ্যান্টি-ভিটামিন কি? 
উঃ গ্যালাক্টোফ্লাভিন।
19. কোন্ ভিটামিন রান্না করলে নষ্ট হয়ে যায় ? 
উঃ ভিটামিন সি।
20. ভিটামিন C এর রাসায়নিক নাম কি? 
উঃ অ্যাসকরবিক অ্যাসিড।
21. ভিটামিন Aর রাসায়নিক নাম কি? 
উঃ রেটিনল।
22. ভিটামিন Dর রাসায়নিক নাম কি? 
উঃ ক্যালসিফেরল।
23. ভিটামিন Eর রাসায়নিক নাম কি? 
উঃ টোকোফেরল।
24. ভিটামিন Kর রাসায়নিক নাম কি? 
উঃ ফাইলোকুইনন।
25. ভিটামিন B1, B2 এবং B12র রাসায়নিক নাম কি? 
উঃ B1- থিয়ামিন।
B2- রাইবোফ্লাভিন
B12- সায়ানোকোবালামিন।
26. মানবদেহের ত্বকে কোন্ ভিটামিন সংশ্লেষিত হয় ? 
উঃ ভিটামিন ডি।
27. সূর্যালােকের অতিবেগুনি রশ্মি কোন্ ভিটামিন সংশ্লেষে সহায়তা করে?
উঃ ভিটামিন D
28. মানুষের যকৃতে কোন্ ভিটামিন সংশ্লেষিত হয়? 
উঃ ভিটামিন A
29. মানুষের অন্ত্রে কোন্ জীবাণু কোন্ ভিটামিন সংশ্লেষ করে ? 
উঃ ভিটামিন B12, K
30. টেকি ছাটা চাল ও লাল আটায় কোন্ ভিটামিন পাওয়া যায় ? 
উঃ ভিটামিন B 
31. কড মাছের যকৃৎ নিঃসৃত তেলে কোন কোন্ ভিটামিন পাওয়া যায় ? 
উঃ ভিটামিন A
32. টক ফলে কোন্ ভিটামিন থাকে? 
উঃ ভিটামিন C
33. আলফা আলফা শাকে কোন্ ভিটামিন থাকে?
উঃ ভিটামিন K
34. গাজরে কোন্ ভিটামিন থাকে? 
উঃ ভিটামিন A
35. গমের অঙ্কুর নিঃসৃত তেলে কোন্ ভিটামিন পাওয়া যায় ?
উঃ ভিটামিন E
36. শূকরের যকৃৎ নিঃসৃত তেলে কোন ভিটামিন পাওয়া যায় ? 
উঃ ভিটামিন K
37. কোন্ ভিটামিনের অভাবে রাতকানা রােগ হয়?
উঃ ভিটামিন A
38. ছদ্ম ভিটামিন কাকে বলে?
উঃ যেসব যৌগের গঠন ভিটামিন এর মত কিন্তু ভিটামিনের গুণসম্পন্ন নয় তাদের সিউডোভিটামিন বা ছদ্ম ভিটামিন বলে। যেমন - মিথাইলকোবালামিডন ভিটামিন B12 এর ছদ্ম ভিটামিন।
39. কোন্ ভিটামিনের অভাবে বেরিবেরি রােগ হয়? 
উঃ ভিটামিন B1 এর অভাবে।
40. কোন্ ভিটামিনের অভাবে ঠোটের কোণায় ঘা হয়? 
উঃ ভিটামিন B2 এর অভাবে
41. কোন্ ভিটামিনের অভাবে রক্তাল্পতা হয়? 
উঃ ভিটামিন B12 এর অভাবে
42. মােটামুটি সব ভিটামিন পাওয়া যায় এমন একটি খাদ্যের নাম কর। 
উঃ দুধ।
43. রেটিনার রড কোষ গঠনে সাহায্য করে কোন্ ভিটামিন ?
উঃ ভিটামিন A
44. রিকেট হয় কোন্ ভিটামিনের অভাবে? 
উঃ ভিটামিন ডি।
45. বন্ধ্যাত্ব দেখা যায় কোন্ ভিটামিনের অভাবে?
উঃ ভিটামিন E
46. হেমারেজ বা রক্তক্ষরণ হয় কোন্ ভিটামিনের অভাবে? 
উঃ ভিটামিন K এর অভাবে।
47. কোন ভিটামিনকে P-P ফ্যাক্টর বলে ?
উঃ ভিটামিন B3 পেলেগ্রা রোগ প্রতিরোধ করে বলে ভিটামিন B3 বা নিয়াসিন কে PP ফ্যাক্টর বলা হয়। PP কথার পুরো অর্থ হল পেলেগ্রা প্রিভেনশন বা পেলেগ্রা প্রতিরোধ। 
48. ফসফরাসের অভাবে উদ্ভিদ-দেহে ও প্রাণিদেহে কি লক্ষণ প্রকাশ পায় ? 
উঃ ফসফরাসের অভাবে উদ্ভিদ-দেহে অসময় পাতা ঝরে যায় এবং প্রাণীদেহে ফসফরাস এর অভাবে রিকেট, অস্থিক্ষয়, দন্তক্ষয় ইত্যাদি রোগ দেখা যায়।
49. উদ্ভিদের সবুজ পাতা হলুদ হয়ে যায় অর্থাৎ ক্লোরাসিস রােগের লক্ষণ প্রকাশ পায় কোন কোন খনিজের অভাবে?
উঃ লৌহ এবং ম্যাগনেসিয়ামের অভাবে।
50. ক্যালসিয়ামের অভাবে প্রাণিদেহে কি লক্ষণ প্রকাশ পায় ? 
উঃ ক্যালসিয়ামের অভাবে প্রাণীদেহে রিকেট ও অস্টিওম্যালেসিয়া রোগ হয়।
51. মানবদেহে অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা রােগ হয় কোন্ খনিজের অভাবে? 
উঃ লৌহের অভাবে।
52. কোন্ ধাতু ক্লোরােফিল গঠনে সহায়তা করে ?
উঃ লৌহ, ম্যাগনেসিয়াম।
53. কোন খনিজের অভাবে মানবদেহে গলগন্ড রোগ হয়?
উঃ আয়োডিনের অভাবে।
54. আয়ােডিনের অভাবে মানবদেহে কি লক্ষণ প্রকাশ পায় ?
উঃ আয়োডিনের অভাবে মানবদেহে গলগন্ড রোগ এবং রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
55. হিমােগ্লোবিন গঠনে সহায়তা করে কোন্ খনিজ ? 
উঃ লৌহ।
56. স্নায়ুকোষ গঠনে সহায়ককারী খনিজ কোনটি?
উঃ ম্যাগনেসিয়াম।
57. আমাদের প্রত্যহ কত লিটার জলের প্রয়ােজন? 
উঃ 3000 ml.
58. কোন্ খনিজ থাইরক্সিনের একটি বিশেষ উপাদান? 
উঃ আয়োডিন।
59. আমাদের মূত্র ও ঘামের সঙ্গে প্রত্যহ কি পরিমাণ জল নির্গত হয়? 
উঃ আমাদের প্রত্যেকদিন মূত্রের সঙ্গে 1500ml, ঘামের সঙ্গে 800-1000, নিঃশ্বাসের সঙ্গে 300ml. এবং মলের সঙ্গে 200ml জল নির্গত হয়।
60. কোন্ কোন্ খনিজের অভাবে রিকেট রােগ হয়? 
উঃ লৌহ এবং ফসফরাস।
61. কোন্ খনিজ রক্ততঞ্চনে অংশগ্রহণ করে? 
উঃ ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, এবং সালফার।
62. উদ্ভিদের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রক প্রধান খনিজগুলি কি কি? 
উঃ ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url