মানুষের স্নায়ুতন্ত্র ও ইন্দ্রিয়স্থান
মানুষের স্নায়ুতন্ত্র ও ইন্দ্রিয়স্থান
মানুষের স্নায়ুতন্ত্র ও ইন্দ্রিয়স্থান
1. স্নায়ুতন্ত্র কাকে বলে?
উঃ নিউরোন বা স্নায়ুকোষ দিয়ে গঠিত যে তন্ত্রের সাহায্যে প্রাণিদেহে উদ্দীপনা গ্রহণ, উদ্দীপনায় সাড়া দিয়ে পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষা এবং দেহের বিভিন্ন অঙ্গ ও তন্ত্রের মধ্যে সমন্বয় সাধন হয়, তাকে স্নায়ুতন্ত্র ( Nervous system) বলে।
2. স্নায়ুতন্ত্রের কাজ গুলি কি কি?(Function of Nervous system)
উঃ 1. সমন্বয় সাধন: প্রাণিদেহের বিভিন্ন অঙ্গ ও তন্ত্রের মধ্যে যােগাযােগ রক্ষা করা এবং তাদের কাজের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা।
2. উদ্দীপনা গ্রহণ: দেহের বাহ্যিক এবং আভ্যন্তরীণ উদ্দীপনা গ্রহণ করা।
3. উদ্দীপনায় সাড়া দেওয়া: উদ্দীপকে সাড়া দিয়ে নিজ নিজ পরিবেশের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করা।
4. পেশি ও গ্রন্থির কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ: দেহস্থ বিভিন্ন পেশী-সঙ্কোচন এবং বিভিন্ন গ্রন্থির ক্ষরণে সহায়তা করা।
5. মানসিক ও পরিবর্ত ক্রিয়া পরিচালন: মানসিক অনুভূতি, বুদ্ধি, বিচার, চিন্তা ইত্যাদি মানসিক ক্রিয়া ও প্রতিবর্ত ক্রিয়া প্রচলন করা স্নায়ুতন্ত্রের অন্যতম একটি প্রধান কাজ।
3. স্নায়ুতন্ত্রের কত রকমের উদ্দীপনা পরিবহনকারী উপাদান থাকে?
উঃ স্নায়ুতন্ত্রে তিন রকমের উদ্দীপনা পরিবহনকারী উপাদান থাকে।
উপাদান গুলি হল- 1. রিসেপ্টর বা গ্ৰাহক (Receptor)
2. কনডাক্টর (conductor) বা বাহক এবং
3. এফেক্টর ( effector) বা কারা।
স্নায়ুতন্ত্রের শ্রেণীবিভাগ ( clarification of nervous system):
মানুষসহ মেরুদণ্ডী প্রাণিদের স্নায়ুতন্ত্র প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায় যথা :
1. কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র (Central Nervous System) : এটি মস্তিষ্ক এবং সুষুম্নাকাণ্ড নিয়ে গঠিত।
2.প্রান্তীয় স্নায়ুতন্ত্র (Perpheral Nervous System) : কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র থেকে নির্গত সমস্ত রকম স্নায়ু সমূহ নিয়ে এই স্নায়ুতন্ত্র গঠিত হয়েছে। এই স্নায়ুতন্ত্র মস্তিষ্ক থেকে নির্গত 12 জোড়া ক্রেনিয়াল নার্ভ বা করােটিক স্নায়ু বা করােটিয় স্নায়ু এবং সুষুম্নকাণ্ড থেকে নির্গত 31 জোড়া সুষুম্না স্নায়ু বা সুষুম্নীয় স্নায়ু নিয়ে গঠিত।
3. স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্র (Autonomic Nervous System) : যে সব স্নায়ু প্রাণিদেহের আন্তর যন্ত্র তথা অনৈচ্ছিক পেশী সমুহে বিস্তৃত থেকে তাদের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে, তাদের স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্র বলে।
যেমন- 1. সিমপ্যাথেটিক স্নায়ুতন্ত্র
2. প্যারাসিমপ্যাথেটিক স্নায়ুতন্ত্র
5. নিউরােন কাকে বলে? নিউরোনের গঠন উল্লেখ করো? এবং
একটি আদর্শ নিউরনের চিত্র অঙ্কন করো।
উঃ কোশদেহ সহ সমস্ত রকম প্রবর্ধক নিয়ে গঠিত স্নায়ুতন্ত্রের গঠনমূলক ও কার্যমূলক একককে নিউরােন বলে।
নিউরােনের গঠন (Structure of Neurone)
উঃ নিউরােন প্রধানত দুটি অংশ নিয়ে গঠিত,
যথা : 1. কোষদেহ এবং 2. প্রবর্ধক বা প্রসেস।
1. কোষদেহ বা সেল বডি (Cell body) : নিউরােনের কোষদেহকে নিউরােসাইটন (neurocyton) বলে। এটি সােমা (soma) এবং সেনট্রন (centron) নামেও অভিহিত। এটি
আকৃতিতে নক্ষত্রাকার, গােলাকার, ডিম্বাকার, ত্রিকোণাকার, শান্ধব অথবা ফ্লাস্কের মত হয়।
কোষদেহের অংশগুলি হল :
(i) কোষ ঝিল্লি (Cell membrane) : কোষদেহটি লাইপােপ্রােটিন দ্বারা গঠিত একটি আবরণী দ্বারা আবৃত থাকে।
(ii) সাইটোপ্লাজম (Cytoplasm) : স্নায়ুকোষের সাইটোপ্লাজম দানাযুক্ত এবং তন্তুময়। কোষদেহের সাইটোপ্লাজমকে নিউরােপ্লাজম বলে।
(iii) নিউক্লিয়াস (Nucleus) : কোষদেহে একটি বড় নিউক্লিয়াস থাকে। নিউক্লিয়াসের মধ্যে নিউক্লিওলাস এবং ক্রোমাটিন তন্তু থাকে।
(iv) নিজল দানা (Nissle granules) : অ্যাক্সনের অক্ষস্তুপ (hillock) ছাড়া কোষদেহের সাইটোপ্লাজমে অসংখ্য রাইবােনিউক্লিও প্রােটিন দিয়ে গঠিত ছােট ছােট কণা বা দানা ছড়িয়ে থাকে, যাদের নিজ দানা বলে। এগুলি প্রকৃতপক্ষে রাইবােজোম দানা। প্রােটিন সংশ্লেষ করা এদের বিশেষ কাজ।
(v) নিউরােফাইব্রিল (Neurofibril) : কোষদেহের সাইটোপ্লাজমে যে সব অসংখ্য সূক্ষ্ম সূত্রাকার পদার্থ ডেনড্রনের দিক থেকে অ্যাক্সন পর্যন্ত বিস্তৃত থাকে, তাদের নিউরােফাইব্রিল বলে।
(vi) মাইটোকনড্রিয়া (Mitochondria) : কোষদেহের সাইটোপ্লাজমে অসংখ্য মাইটোকনড্রিয়া ছড়িয়ে থাকে।
(vii) গলগি বডি (Golgi body) : কোষদেহের সাইটোপ্লাজমে গগি বডি এবং অন্তঃকোষীয় জালক (intracellular reticulum) দেখতে পাওয়া যায়।
(viii) সেন্ট্রোজোম (Centrosome) : এটি অনুন্নত এবং নিষ্ক্রিয়। স্নায়ুকোষের সেন্ট্রোজোম নিষ্ক্রিয় হওয়ায় স্নায়ুকোষ বিভাজনে অক্ষম।
2. প্রবর্ধক (Process) : স্নায়ুকোষের কোষদেহ থেকে নির্গত সূক্ষ্ম সূত্রাকার প্রােটোপ্লাজমীয় অংশকে প্রবর্ধক বলে।
প্রবর্ধক দু'রকমের হয়, যথা : (a) অ্যাক্সন এবং (b) ডেনড্রন।
একটি আদর্শ নিউরনের চিত্র:
6. অ্যাক্সন কি ? অ্যাক্সনের কাজ কি?
উঃ অ্যাক্সন : নিউরােনের দীর্ঘ, সাধারণত শাখাহীন ও নিউরােলেমা আবরণযুক্ত প্রবর্ধককে অ্যাক্সন বলে।
অ্যাক্সনের কাজ : স্নায়ুস্পন্দন কোষদেহ থেকে পরবর্তী স্নায়ুকোষে বা ইফেক্টরে বহন করা।
7. নিউরােলেমা কি ?
উত্তরঃ নিউরােলেমা : অ্যাক্সনকে একেবারে বাইরে থেকে পরিবেষ্টন করে অবস্থিত আবরণী। এই আবরণে সােয়ান কোষ থাকায় একে সােয়ান আবরণী বলে।
8. ডেনড্রন কি ? ডেনড্রনের কাজ কি?
উঃ ডেনড্রন (Dendron) : (i) ডেনড্রন হল কোষদেহের সংজ্ঞাবহ প্রবর্ধক (sensory process) বা অন্তর্বাহী শাখা (afferent branches);
(ii) এরা আকারে ছােট এবং অসংখ্য শাখা-
প্রশাখাযুক্ত; ডেনড্রনের প্রতিটি শাখাকে ডেনড্রাইট (dendrite) বলে;
(iii) এদের মধ্যে নিউরােপ্লাজম, নিউরােফাইব্রিল এবং নিজল দানা থাকে;
(iv) ডেনড্রন কেবল নিউরােন পর্দা দিয়ে
আবৃত থাকে;
(v) ডেনড্রনের মধ্যে সোয়ান কোষ থাকে না;
(vi) ডেনড্রন পূর্ববর্তী নিউরােন থেকে অথবা রিটের থেকে স্নায়ুস্পন্দন গ্রহণ করে এবং তা কোষদেহে বহন করে।
ডেনড্রনের কাজ : রিসেপ্টর থেকে বা পূর্ববর্তী স্নায়ুকোষ থেকে স্নায়ু-আবেগ গ্রহণ করা।
9. অ্যাক্সন ও ডেনড্রন এর পার্থক্য লেখ।
উঃ
অ্যাক্সন ও ডেনড্রন এর পার্থক্য
বৈশিষ্ট্য | অ্যাক্সন | ডেনড্রন |
---|---|---|
1. প্রকৃতি | 1. অ্যাক্সন স্নায়ুকোষের চেষ্টীয় প্রবর্ধক। | 1. ডেনড্রন স্নায়ুকোষের সংজ্ঞাবহ প্রবর্ধক। |
2. শাখা | 2. অ্যাক্সন সাধারণত শাখাবিহীন অথবা স্বল্প শাখাযুক্ত। | 2. ডেনড্রন অসংখ্য শাখা-প্রশাখাযুক্ত। |
3. আকৃতি | 3. এটি দীর্ঘ। | 3. এটি ছোট। |
4. নিউরােলেমা ও মায়েলিন আবরণ | 4. অ্যাক্সন নিউরােলেমা ও মায়েলিন আবরণযুক্ত। | 4. ডেনড্রন নিউরােলেমা ও মায়েলিন আবরণহীন। |
5. স্বোয়ান কোশ | 5. অ্যাক্সনের মধ্যে স্বোয়ান-কোশ থাকে। | 5. ডেনড্রনের মধ্যে স্বোয়ান-কোশ থাকে না। |
6. নিজল্ দানা | 6. অ্যাক্সনের মধ্যে নিজল্ দানা থাকে না। | 6. ডেনড্রনের মধ্যে নিজল্ দানা থাকে। |
7. রানভিয়ারের পর্ব | 7. অ্যাক্সনে রানভিয়ারের পর্ব থাকে। | 7. ডেনড্রনে রানভিয়ারের পর্ব থাকে না। |
8. কাজ | 8. স্নায়ুস্পন্দন বহন করা হল অ্যাক্সনের প্রধান কাজ। | 8. স্নায়ুস্পন্দন গ্রহণ করা হল ডেনড্রন এর প্রধান কাজ। |
10. নিউরোনর কাজ কি?
উত্তরঃ নিউরােনের প্রধান কাজ হল উদ্দীপনা বা স্নায়ুস্পন্দন বহন করা। সেনসরি নিউরােন রিসেপ্টর থেকে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে এবং মােটর নিউরােন কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র থেকে ইফেক্টরে স্নায়ুস্পন্দন বহন করে।
11. নিউরোগ্লিয়া কি? নিউরোগ্লিয়ার কাজ কি? নিউরোগ্লিয়া কত রকমের হয়?
উত্তরঃ নিউরােগ্লিয়া (Neuroglia) : নিউরােন ছাড়াও স্নায়ুতন্ত্রে নিউরােগ্লিয়া নামে আর একরকম গঠনগত উপাদান পরিলক্ষিত হয়। প্রকৃতপক্ষে এটি একরকমের পরিবর্তিত যােগ কলা।
নিউরােগ্লিয়া স্নায়ুতন্ত্রে ধারক কোষ হিসেবে কাজ করে। এরা বিভাজনে সক্ষম এবং বহু প্রবর্ধক যুক্ত এবং এদের স্নায়ুস্পন্দন পরিবহনের ক্ষমতা নেই। স্নায়ুকোষের মৃত্যুর পর এগুলি তার স্থান দখল করে। স্নায়ুতন্ত্রের মােট কোষসমষ্টির প্রায় 90 শতাংশই হল নিউরােগ্লিয়া।
আকৃতি অনুসারে নিউরােগ্লিয়া বিভিন্ন রকমের হয়, যেমন : অ্যাস্ট্রোসাইট, অ্যাস্ট্রোগ্লিয়া, মাইক্রোগ্লিয়া, অলিগােডেড্রোগ্লিয়া ইত্যাদি।
12. স্নায়ু কি? স্নায়ুর কাজ কি?
উত্তরঃ রক্তবাহ সমন্বিত এবং পেরিনিউরিয়াম নামক যােগকলার আবরণ দ্বারা আবৃত এক বা একাধিক স্নায়ুতন্তু বা স্নায়ুতন্তুগুচ্ছকে স্নায়ু বা নার্ভ (nerve) বলে।
স্নায়ুর কাজ: স্নায়ুর কাজগুলিকে প্রধানত দু'ভাগে ভাগ করা যেতে পারে, যেমন :
(i) গ্রাহক কাজ বা সংজ্ঞাবহ কাজ (Sensory function) : চক্ষু, কর্ণ, নাসিকা, জিহ্বা, ত্বক ইত্যাদি থেকে বিভিন্ন ধরনের উদ্দীপনা গ্রহণ করে সেই সকল উদ্দীপনাকে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে
পৌছে দেওয়া।
(ii) প্রেরক কাজ বা চেষ্টীয় কাজ (Motor function) : কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র থেকে বিভিন্ন ধরনের অনুভূতি বা সাড়া বিভিন্ন প্রেরক যন্ত্রে অর্থাৎ ইফেক্টরে পৌছে দেওয়া। এইভাবে স্নায়ু বিভিন্ন পেশীর সংকোচন-প্রসারণ নিয়ন্ত্রণ করে এবং গ্রন্থিগুলি থেকে রসক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে।
13. স্নায়ুর শ্রেণীবিভাগ (Classification of Nerves) : গঠন অনুযায়ী স্নায়ু দু'রকমের হয়,
যেমন :
1. মেডুলেটেড স্নায়ু (Medullated Nerve) : মেডুলাযুক্ত স্নায়ুতন্তু দ্বারা গঠিত স্নায়ুকে মেডুলেটেড স্নায়ু বলে। এইরকম স্নায়ু কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে অবস্থিত থাকে।
2. নন-মেডুলেটেড স্নায়ু (Non-Medullated Nerve) : মেডুলাবিহীন স্নায়ুতন্তু দ্বারা গঠিত স্নায়ুকে নন-মেডুলেটেড স্নায়ু বলে। এইরকম স্নায়ু অটোনমিক স্নায়ুতন্ত্রে অবস্থিত থাকে।
কাজ অনুযায়ী স্নায়ু তিন রকমের হয়, যথা :
1. অন্তর্বাহী স্নায়ু বা অ্যাফারেন্ট নার্ভ (Afferent Nerve)
2. বহির্বাহী স্নায়ু বা ইফারেন্ট নার্ভ ( Efferent Nerve)
3. মিশ্র স্নায়ু বা মিক্সড নার্ভ ( Mixed Nerve)
14. মিশ্র স্নায়ু কাকে বলে? একটি মিশ্র স্নায়ুর উদাহরণ দাও।
উঃ মিশ্র স্নায়ু বা মিক্সড নার্ভ (Mixed Nerve) : যে স্নায়ু উভয়মুখে স্নায়ুস্পন্দন বহন করে (রিসেপ্টর থেকে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে এবং কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র থেকে ইফেক্টরে) এবং যে স্নায়ু সেনসরি ও মােটর, উভয় প্রকার স্নায়ুতন্তু দ্বারা গঠিত, তাকে মিশ্র স্নায়ু বলে।
মিশ্র স্নায়ুর উদাহরণ হল ফেসিয়াল (সপ্তম করােটি স্নায়ু), ভেগাস (দশম করােটি স্নায়ু) ইত্যাদি ।
15. মানবদেহের বিভিন্ন রকমের স্নায়ু
👉 করােটি স্নায়ু : মস্তিষ্ক থেকে নির্গত স্নায়ু [১২ জোড়া]।
👉 সুষুম্না স্নায়ু : সুষুম্নকাণ্ড থেকে নির্গত আয়ু [৩১ জোড়া]।
👉 সংজ্ঞাবহ স্নায়ু : রিসেপটর থেকে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে উদ্দীপনা বহনকারী স্নায়ু।
👉 চেষ্টীয় স্নায়ু : কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র থেকে ইফেক্টরে সাড়া বহনকারী স্নায়ু।
👉 মিশ্র স্নায়ু : উভয়মুখে স্নায়ু স্পন্দন বহনকারী স্নায়ু।
👉 মেডুলেটেড স্নায়ু : মেডুলারি আবরণ যুক্ত স্নায়ু।
👉 ননমেডুলেটেড স্নায়ু : মেডুলারি আবরণবিহীন স্নায়ু।
16. নিউরােন ও স্নায়ুর মধ্যে সম্পর্ক কি?
উঃ নিউরােন ও স্নায়ুর মধ্যে সম্পর্ক হল -
(1) নিউরােন স্নায়ুতন্ত্রের গঠনগত ও কার্যগত একক। অন্যদিকে স্নায়ু অসংখ্য নিউরােনের অ্যাক্সনের সমন্বয়ে গঠিত হয়।
(2) অন্তর্বাহী স্নায়ু সেনসরি নিউরােন দিয়ে গঠিত হয় এবং বহির্বাহী স্নায়ু মােটর নিউরােন নিয়ে গঠিত হয়।
(3) নিউরােন স্নায়ু-স্পন্দন পরিবহন করে। অন্যদিকে স্নায়ুর কাজও স্নায়ু-স্পন্দন পরিবহন করা।
নিউরােন তাই স্নায়ুতন্ত্রের গঠনগত ও কার্যগত একক এবং নিউরােন ও স্নায়ুর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কটি হল কোষ ও কলার।
17. স্নায়ু গ্রন্থি কাকে বলে?
উঃ কয়েকটি স্নায়ুকোষের কোষদেহগুলি মিলিত হয়ে যে গ্রন্থি সৃষ্টি করে তাকে স্নায়ুগ্রন্থি বা নার্ভ গ্যাংলিয়ন বলে।
স্নায়ুগ্রন্থি দু’প্রকারের, যথা :
(i) সেরিব্রোস্পাইনাল স্নায়ুগ্রন্থি : এই রকম স্নায়ুগ্রন্থি সুষুম্না স্নায়ুর পৃষ্ঠীয় মূলে এবং করােটি স্নায়ুর সংবেদন মূলে থাকে।
(ii) অটোনােমিক স্নায়ুগ্রন্থি : এই রকম স্নায়ুগ্রন্থি কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র এবং কারক অংশের মধ্যে থাকে।
18. স্নায়ু গ্রন্থির কাজ কি?
উঃ স্নায়ুগ্রন্থির কাজ : (1) স্নায়ুগ্রন্থি থেকে স্নায়ুর উৎপত্তি হয়।
(2) নিউরাে-সিক্রেসন্ (neuro-secretion) নামকরস ক্ষরণ করে স্নায়ুতন্ত্রকে সিক্ত রাখা। অনেক সময় বিশেষ করে অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের ক্ষেত্রে স্নায়ুগ্রন্থি থেকে নিউরাে-সিক্রেটরি হরমােন ক্ষরিত হয়।
19. সাইন্যাপস কি ?
উঃ দুটি নিউরােনের যে সংযােগস্থলে একটি নিউরােন শেষ হয় এবং অপর একটি নিউরােন শুরু হয়, তাকে স্নায়ুসন্নিধি বা সাইন্যাপস্ বলে।
20. সাইন্যাপস এর কাজ কি?
উঃ সাইন্যাপস এর কাজ : সাইন্যাপস্ স্নায়ুস্পন্দনকে এক নিউরােন থেকে অন্য এক নিউরােনে প্রবাহিত করে। যখন পূর্ববর্তী নিউরােন থেকে স্নায়ুস্পন্দন (nerve impulse) ঐ নিউরােনের অ্যাক্সনের শেষ প্রান্তে আসে তখন অ্যাসিটিলকোলিন নিঃসৃত হয়ে স্নায়ুস্পন্দনকে পরবর্তী নিউরােনের ডেনড্রাইটের মধ্যে প্রবাহিত করে।
21. প্রতিবর্ত ক্রিয়া কাকে বলে?
উঃ প্রতিবর্ত ক্রিয়ার সংজ্ঞা : বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ আকস্মিক উদ্দীপনায় (সংজ্ঞাবহ উদ্দীপনা) প্রাণিদেহে যে দ্রুত, স্বতঃস্ফূর্ত এবং অনৈচ্ছিক প্রতিক্রিয়ার (সাড়া) সৃষ্টি হয় তাকে প্রতিবর্ত ক্রিয়া বলে।
22. প্রতিবর্ত চাপ কাকে বলে?
উঃ যে স্নায়ুপথে প্রতিবর্ত ক্রিয়ার স্নায়ুস্পন্দন আবর্তিত হয়, তাকে প্রতিবর্ত চাপ বা রিফ্লেক্স আর্ক বলে।
23. মেনিনজেস কাকে বলে?
উঃ কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র অর্থাৎ মস্তিষ্ক এবং সুষুম্নকাণ্ড যে আবরণ দিয়ে ঢাকা থাকে তাকে মেনিনজেস বলে।
এটি ত্রিস্তরী, যেমন : ডুরাম্যাটার, অ্যারায়েড ম্যাটার এবং পিয়াম্যাটার।
24. মানুষের মস্তিষ্কের ওজন কত?
উঃ মানুষের মস্তিষ্কের ওজন প্রায় 1.36 কেজি এবং এতে প্রায় 10 শত কোটি স্নায়ু কোষ এবং ততোধিক নিউরোগ্লিয়া থাকে।
25. মস্তিষ্কের প্রধান তিনটি অংশের অবস্থান ও কাজ
মস্তিষ্কের অংশ | অবস্থান | প্রধান কাজ |
---|---|---|
1. গুরু মস্তিষ্ক বা সেরিব্রাম। | 1. অগ্রমস্তিষ্ক | 1. বুদ্ধি, চিন্তা, স্মৃতি ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করা। |
2. লঘু মস্তিষ্ক বা সেরিবেলাম | 2. পশ্চাদ মস্তিষ্ক | 2. প্রাণীদেহের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করা। |
3. সুষম্নাশীর্ষক | 3. পশ্চাদ মস্তিষ্ক | 3. হৃদস্পন্দন, শ্বাসক্রিয়া, ঘাম নিঃসরণ ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করা। |
26. গুরু মস্তিষ্ক ও লঘু মস্তিষ্কের পার্থক্য লেখ।
উঃ
গুরু মস্তিষ্ক ও লঘু মস্তিষ্কের পার্থক্য
বৈশিষ্ট্য | গুরু মস্তিষ্ক | লঘু মস্তিষ্ক |
---|---|---|
1. অংশ বিভেদ | 1. গুরু মস্তিষ্ক অগ্র মস্তিষ্কের অংশ। | 1. লঘু মস্তিষ্ক পশ্চাদ্ মস্তিষ্কের অংশ। |
2. অবস্থান | 2. গুরু মস্তিষ্ক আকারে বড় এবং এই মস্তিষ্ক করােটির অধিকাংশ অঞ্চল জুড়ে থাকে। | 2. লঘু মস্তিষ্ক অপেক্ষাকৃত ছােট এবং পশ্চাদ্ করােটির খাঁজে অবস্থিত। |
3. যোজক | 3. গুরু মস্তিষ্কের গােলার্ধ দুটি করপাস ক্যালােসাম নামে যােজক দিয়ে যুক্ত নামে যােজক দিয়ে যুক্ত থাকে। | 3. লঘু মস্তিষ্কের গােলার্ধ দুটি ভারমিস নামে যোজক দিয়ে যুক্ত। |
4. খন্ড | 4. গুরু মস্তিষ্কটি পাঁচটি খণ্ডেবিভক্ত, যেমন: একটি করে অগ্র, মধ্য ও পশ্চাদ্ খণ্ডক এবং দুটি পার্শ্ব খন্ডক। | 4. লঘু মস্তিষ্কে এই ধরনের খণ্ড থাকে না। |
5. কাজ | 5. গুরু মস্তিষ্কের প্রধান কাজ হল প্রাণীদের চিন্তা, বুদ্ধি, স্মৃতি ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করা। | 5. লঘু মস্তিষ্কের প্রধান কাজ হল প্রাণীদেহের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করা। |
27. করপাস ক্যালোসাম কাকে বলে?
উঃ গুরুমস্তিষ্কের গােলার্ধদ্বয় যে স্নায়ু-যােজক দিয়ে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত থাকে, তাকে করপাস ক্যালােসাম বলে।
28. ভারমিস কাকে বলে?
উঃ লঘুমস্তিষ্কের গােলার্ধদ্বয় যে স্নায়ু-যােজক দিয়ে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত থাকে, তাকে ভারমিস বলে।
29. ভেন্ট্রিকল কাকে বলে?
উঃ মস্তিষ্কের মধ্যে মস্তিষ্ক-সুষুম্না রস দিয়ে পূর্ণ যে প্রকোষ্ঠগুলি থাকে তাদের ভেন্ট্রিকল বা মস্তিষ্কের নিলয় বলে।
30. লঘুমস্তিষ্ক বা সেরিবেলাম কাকে বলে?
উঃ পশ্চাদ মস্তিষ্কের যে গােলার্ধদ্বয় একত্রে প্রাণিদেহের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে তাকে লঘু মস্তিষ্ক বা সেরিবেলাম বলে।
31. গুরু মস্তিষ্ক বা সেরিব্রাম কাকে বলে?
উঃ অগ্র মস্তিষ্কের দুটি গােলার্ধে বিভক্ত যে বৃহদাকার অংশ প্রাণিদের চিন্তা, স্মৃতি, বুদ্ধি ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করে তাকে গুরু মস্তিষ্ক বা সেরিব্রাম বলে।
32. অশ্রুগ্রন্থি কি? অশ্রুগ্রন্থির কাজ কি?
উঃ উভয় চোখের অক্ষিকোটরের বহির্ভাগে যেখানে উর্ধ্ব-চক্ষু পল্লব অক্ষিকোটরের সঙ্গে যুক্ত থাকে, সেই স্থানে বাদাম-আকৃতিবিশিষ্ট অগ্রন্থিটি অবস্থিত। অশ্রু-গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত অশ্রু নালী-পথে অক্ষিগােলকের নেত্রবর্ত্মকলা বা কনজাংটিভার ওপর ছড়িয়ে পড়ে। চোখের শুষ্কতা রক্ষা করাই অশ্রুর প্রধান
কাজ। অশ্রু সােডিয়াম বাইকার্বনেট এবং সােডিয়াম ক্লোরাইড নিয়ে গঠিত এক রকমের জলীয় দ্রবণ। অশ্রু চোখের উপরিভাগে ধুলাে-বালি পড়লে তৎক্ষণাৎ তা ধুয়ে দেয়। অশ্রু জীবাণুনাশক হিসেবেও কাজ করে।
33. স্ক্লেরা কি? স্ক্লেরার কাজ কি?
উঃ স্ক্লেরা হল অক্ষিকোটর সংলগ্ন অক্ষিগােলকের বহিরাবরণী। এটি চক্ষুর ভেতরের স্তরদুটিকে রক্ষা করে।
34. কোরয়েড কি? কোরয়েডের কাজ কি?
উঃ কোরয়েড হল স্ক্লেরা সংলগ্ন অক্ষিগােলকের মধ্য আবরণী। ইহা আলােকরশ্মির প্রতিফলন রােধ করে।
35. রেটিনা কি? চোখের রেটিনার কাজ কি ?
উঃ রেটিনা হল অক্ষিগােলকের অন্তঃআবরণী যা ভিট্রিয়াল প্রকোষ্ট সংলগ্ন থাকে। এটি আলো ও বর্ণ গ্রাহক রূপে কাজ করে এবং বস্তুর প্রতিবিম্ব গঠন করে।
36. লেন্স বা মণির কাজ কি?
উঃ আলোর প্রতিসরণ ঘটিয়ে রেটিনার উপর ফোকাস সৃষ্টি করে।
37. অ্যাকুয়াস হিউমরের কাজ কি?
উঃ এটি প্রতিসারক মাধ্যম হিসেবে কাজ করে চোখের আকৃতি প্রদান করে এবং চোখের অভ্যন্তরীণ চাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
38. রড কোষ ও কোণ কোষ এর পার্থক্য লেখ।
রড কোষ ও কোণ কোষ এর পার্থক্য
রড কোষ | কোণ কোষ |
---|---|
1. রড কোষ রড আকৃতিবিশিষ্ট। | 1. কোণ কোষ শাঙ্কবাকৃতিবিশিষ্ট। |
2. রড কোষ মৃদু আলোেক সুবেদী। | 2. কোণ কোষ উজ্জ্বল আলোেক সুবেদী। |
3. রড কোষ বর্ণ সুবেদী নয়। | 3. কোণ কোষ বর্ণ সুবেদী। |
4. রড কোষে রােডপসিন নামক রঞ্জক থাকে। | 4. কোণ কোষে আইডপসিন এবং সায়নাপসিন নামক রঞ্জক থাকে। |
5. রেটিনায় রড কোষের সংখ্যা অনেক বেশী। | 5. রেটিনায় কোণ কোষের সংখ্যা অপেক্ষাকৃত কম। |
6. পীত বিন্দু অঞ্চলে রড কোষ থাকে না। | 6. পীত বিন্দু অঞ্চলে কোণ কোষ থাকে। |
7. নিশাচর প্রাণিদের (পেঁচা, শিয়াল) রেটিনায় কেবল রড কোষ থাকে। | 7. নিশাচর প্রাণিদের রেটিনায় কোণ কোষ সাধারণত থাকে না। |
39. অন্ধবিন্দু ও পীতবিন্দুর পার্থক্য লেখ।
অন্ধবিন্দু ও পীতবিন্দুর পার্থক্য
অন্ধবিন্দু | পীত বিন্দু |
---|---|
1. রেটিনা ও অপটিক স্নায়ুর সংযােগস্থলে অবস্থিত। | 1. তারারন্ধ্রের বিপরীত দিকে যেখানে আলােকরশ্মি কেন্দ্রীভূত হয় রেটিনার সেই অংশে অবস্থিত। |
2. অন্ধ বিন্দুতে রড কোষ ও কোণ কোষ কোনটিই থাকে না। | 2. পীত বিন্দুতে কেবল কোণ কোষ অবস্থিত। |
3. বর্ণহীন। | 3. পীত বর্ণের। |
4. এখানে বস্তুর প্রতিবিম্ব গঠিত হয় না। | 4. এখানে বস্তুর প্রতিবিম্ব গঠিত হয়। |
40. ককলিয়া কি? ককলিয়ার কাজ কি?
উঃ ককলিয়া : অন্তঃকর্ণে অবস্থিত পেঁচালাে নালী বিশেষ।
ককলিয়ার কাজ : শ্রবণ অনুভূতি গ্রহণ করে তা মস্তিষ্কে প্রেরণ করে।
41. অটোলিথ কি? অটোলিথের কাজ কি?
উঃ অটোলিথ হল ইউট্রিকল ও স্যাকিউল মধ্যস্থ তরলে অবস্থিত ক্যালসিয়াম কার্বনেটের দানা বিশেষ।
অটোলিথের কাজ হল দেহের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করা।
42. কর্টিযন্ত্র কি?
কর্টিযন্ত্র : ককলিয়া মধ্যস্থ ব্যাসিলারি পর্দার উপরে অবস্থিত শব্দগ্রাহক যন্ত্র।
43. কুকুর, বিড়াল রাতে ভাল দেখতে পায় কেন?
উঃ কুকুর, বিড়ালের রেটিনায় রড কোষের সংখ্যা বেশী থাকায় এরা রাতে ভাল দেখতে পায়।
44. মায়োপিয়া কাকে বলে? মায়োপিয়ার প্রতিকার কি?
উঃ যে দৃষ্টিতে দূরের দৃষ্টি ব্যাহত হয় তাকে মায়োপিয়া বলে।
মায়োপিয়ার প্রতিকার অবতল লেনস্-এর চশমা ব্যবহার করলে এই রােগ সারে।
45. হাইপারমেট্রোপিয়া কাকে বলে? হাইপারমেট্রোপিয়ার প্রতিকার কি?
উঃ যে দৃষ্টিতে কাছের দৃষ্টি ব্যাহত হয় তাকে হাইপারমেট্রোপিয়া বলে।
হাইপারমেট্রোপিয়ার প্রতিকার উত্তল-লেন্স চশমা ব্যবহার করলে এই রােগ সারে।
46. একনেত্র দৃষ্টি কি ?
উঃ একনেত্র দৃষ্টি (Monocular vision) : যখন একসঙ্গে দুটি চোখ দিয়ে আলাদা বস্তুর প্রতিবিম্ব দেখা যায় তখন সেইরকম দৃষ্টিকে একনেত্র দৃষ্টি বলে।
এই রকম দৃষ্টিতে বস্তুর সঠিক আকার ও অবস্থান নির্ণয় করা যায় না। উদাহরণ : ব্যাঙ, গরু, ঘােড়া ইত্যাদি। শিকারী পাখী ছাড়া অন্যান্য পাখীদেরও এরূপ দৃষ্টি।
47. দ্বিনেত্র দৃষ্টি কি ?
উঃ দ্বিনেত্র দৃষ্টি (Binocular vision) : যখন একসঙ্গে দুটি চোখ দিয়ে একই বস্তুর প্রতিবিম্ব দেখা যায় তখন তাকে দ্বিনেত্র দৃষ্টি বলে। এরূপ দৃষ্টির সাহায্যে বস্তুর সঠিক আকার এবং অবস্থান
নির্ণয় করা যায়।
উদাহরণ : মানুষ, বানর, বাঘ, বাজপাখী, পেঁচা ইত্যাদি।
48. চোখে ছানি পড়ে কেন?
উঃ বৃদ্ধ বয়সে লেস্-এর ওপর বিশেষ এক পর্দার আবির্ভাব হওয়ায় লেন্স ঘােলাটে হয়ে যায়। একে ছানি বা ক্যাটারাক্ট বলে। অস্ত্রোপচার করে বিশেষ লেন্স ব্যবহারে দৃষ্টি শক্তি আবার ফিরে আসে।
49. গ্লুকোমা কি ?
উঃ গ্লুকোমা (Glucoma) : অক্ষিগােলকের জলীয় পদার্থ নির্গত হতে না পারলে চোখের ভিতরে চাপ সৃষ্টি হয়, ফলে যে রােগ সৃষ্টি হয় তাকে গ্লুকোমা বলে। এই প্রকার রােগে মানুষ অন্ধ হয়ে যায়।
50. রাতকানা রোগ হয় কেন?
উঃ ভিটামিন A এর অভাবে রড কোষ নষ্ট হয়ে যাওয়ার ফলে রাতকানা রোগ হয়।
রড কোষ: অন্ধকারে দেখতে সাহায্য করে।
স্নায়ুতন্ত্র ও ইন্দ্রিয়স্থানের গুরুত্বপূর্ণ অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর সরকারি চাকরি প্রস্তুতির পরীক্ষার জন্য
1. স্নায়ুতন্ত্রের একককে কি বলে?
উঃ নিউরোন।
2. মেডুলারি আবরণ কোথায় থাকে?
উঃ অ্যাক্সোলােমার ওপর।
3. সােয়ান কোষ কোথায় দেখা যায়?
উঃ অ্যাক্সনে।
4.ভেগাস স্নায়ু কি প্রকার স্নায়ু?
উঃ মিশ্র স্নায়ু।
5. ব্যাঙের করােটীয় স্নায়ু সংখ্যা কত?
উঃ 31 জোড়া।
6. মানুষের সুষুম্না স্নায়ুর সংখ্যা কটি ?
উঃ 31 জোড়া।
7. অডিটরি স্নায়ু কত নম্বর করােটিক স্নায়ু ?
উঃ অষ্টম।
8. ফাঁপা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র কোন প্রাণীতে দেখা যায় ?
উঃ মাছে।
9. মানুষের দেহের ভারসাম্য কে রক্ষা করে?
উঃ লঘুমস্তিষ্ক
10. প্রাণীদেহে কে উদ্দীপনা পরিবহন করে?
উঃ স্নায়ুকোষ।
11. জীবের উত্তেজনায় সাড়া দেওয়াকে কি বলে?
উঃ উত্তেজিতা।
12. মেরুদন্ডী প্রাণীদের মস্তিষ্ক ও সুষুম্নাকান্ড দ্বারা কি গঠিত?
উঃ কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র।
13. স্নায়ুতন্ত্রে কি দ্বারা উদ্দীপনা গৃহীত হয়?
উঃ গ্রাহক।
14. নিউরােনের মৃত্যুর পর তার স্থান কে দখল করে?
উঃ নিউরােগ্লিয়া।
15. মানুষের দশম করােটি স্নায়ু কোনটি ?
উঃ মানুষের দশম করােটি স্নায়ু হল ভেগাস স্নায়ু।
16. মানুষের সুষুম্নাকান্ডের খন্ডকের সংখ্যা কটি ?
উঃ 31 টি।
17. কয়েকটি স্নায়ুকোষের কোষদেহগুলি মিলিত হয়ে কি গঠিত হয়?
উঃ সাইন্যাপসিস।
18. অ্যাক্সন অবস্থিত সাইটোপ্লাজমকে কি বলে?
উঃ অ্যাক্সাপ্লাজম।
19. প্রতিবর্ত ক্রিয়া সাধারনতঃ কি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়?
উঃ সুষুম্নাকান্ড দ্বারা।
20. মস্তিষ্কের প্রকোষ্ঠ বা ভেন্ট্রিকলের সংখ্যা কটি ?
উঃ 4 টি ।
21. কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের আবরণকে কি বলে?
উঃ মেনিনজেস।
22. একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সুষুম্নাকান্ডের দৈর্ঘ্য কত?
উঃ 18 ইঞ্চি।
23. সাইন্যাপস অঞলে সাইন্যাপটিক নবের ঝিল্লিকে কি বলে?
উঃ প্রি-সাইন্যাপটিক মেমব্রেন।
24. কে গ্রাহক থেকে স্নায়ুস্পন্দন কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে বহন করে নিয়ে যায়?
উঃ সেনসরি নিউরােন।
25. ‘শর্তধীন প্রতিবর্ত ক্রিয়া’ র আবিস্কার কে করেন?
উঃ আইভ্যান প্যাভলভ।
26. স্নায়ু ট্রান্সমিশন পদ্ধতি আবিস্কার করার জন্য কারা নােবেল পুরস্কার পান?
উঃ হেনরি এইচ ডেল ও অট্রোলেই।
27. ঘর্মনিঃসরণ কিসের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় ?
উঃ সুষুম্নাশীর্ষক
28. কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র কি নিয়ে গঠিত?
উঃ মস্তিষ্ক এবং সুষুম্নাকান্ড
29. দুটি নিউরােনের সংযােগস্থলকে কি বলা হয়?
উঃ সাইন্যাপস।
30. স্নায়ুকোশে কোন জিনিস নিস্ক্রিয় থাকায় এটি বিভাজিত হয় না?
উঃ সেন্ট্রোজোম।
31. মানুষের মস্তিষ্কের নিলয়ের সংখ্যা কত?
উঃ 4 টি
32. ব্যাঙের শিকার ধরা– কি ধরনের প্রতিবর্ত ক্রিয়া ?
উঃ জটিল প্রতিবর্ত ক্রিয়া।
33. গুরুমস্তিষ্কের বহিদেশের ভাঁজগুলিকে কি বলে?
উঃ জাইরাস।
34. অ্যাক্সন সাধারনতঃ কটি শাখাপ্রশাখা যুক্ত থাকে?
উঃ শাখাহীন।
35. চক্ষুবিন্দু কার দেখা যায়?
উঃ প্ল্যানেরিয়া।
36. চোখের সাথে যুক্ত করােটি স্নায়ু কোনটি?
উঃ অপটিক।
37. ট্যাক্টাইল রােম কার থাকে?
উঃ আরশােলা।
38. কোন ছিদ্র দ্বারা চোখে আলাে প্রবেশ করে?
উঃ পিউপিল।
39. হাইপার মেট্রোপিয়া রােগের জন্য রােগীরা কি ব্যবহার করেন?
উঃ উত্তল লেন্স।
40. রডকোষে কোন্ রঞ্জক পদার্থ থাকে?
উঃ রােডােপসিন
41. রেটিনা ও অপটিকা স্নায়ু স্থলকে কি বলে?
উঃ অন্ধবিন্দু।
42. জিভের পশ্চাদ অংশে কোন স্বাদ অনুভূত হয়?
উঃ তেতো।
43. কোন প্রাণীতে বিশেষ ইন্দ্রিয় পাওয়া যায় ?
উঃ মাছ।
44. রডকোশ কী ধরণের আলোক শোষণে সক্ষম?
উঃ মৃদু।
45. চক্ষুগােলকের রক্তবাহ সমন্বিত আবরকটির নাম কি?
উঃ কোরয়েড।
46. অরগ্যান অব কটি কোন পর্দায় ওপর বিন্যস্ত থাকে?
উঃ ব্যাসিলার।
47. যে দৃষ্টিতে দূরের দৃষ্টি ব্যাহত হয় কিন্তু নিকটের দৃষ্টি ঠিক থাকে তাকে কি বলে?
উঃ মায়ােপিয়া।
48. অশ্রুতে জীবানুনাশক হিসেবে কি উপস্থিত থাকে?
উঃ লাইসােজোম।
49. জিহ্বার অগ্রভাগে কোন্ স্বাদ অনুভূত হয়?
উঃ মিষ্টি
50. পিনিয়াল বডি কোথায় অবস্থিত?
উঃ মাথায়।
শ্রেণী- নবম শ্রেণী
মানুষের স্নায়ুতন্ত্রের অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
1. প্রাণিদেহের ভৌত সমন্বয়ক কে?
উঃ স্নায়ুতন্ত্র।
2. জীবের উত্তেজনায় সাড়া দেওয়ার ধর্মকে কি বলে?
উঃ উত্তেজিতা।
3. কোন প্রাণীর দেহে প্রথম স্নায়বিক পদ্ধতি দেখা গেছে?
উঃ বহুকোষী প্রাণী হাইড্রার দেহে প্রথম স্নায়বিক পদ্ধতি দেখা গেছে।
4. স্নায়ুতন্ত্রবিহীন একটি বহুকোষী জীবের উদাহরণ দাও?
উঃ স্পঞ্জ।
5. অমেরুদন্ডী প্রাণীর স্নায়ুতন্ত্র দেহের কোনদিকে অবস্থিত?
উঃ দেহের অঙ্কদেশে অবস্থিত।
7. মেরুদণ্ডী প্রাণীদের স্নায়ুতন্ত্র দেহের কোনদিকে অবস্থিত?
উঃ পৃষ্ঠদেশে অবস্থিত।
৪. কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রটি কোন্ প্রাণীদের নিরেট?
উঃ অমেরুদন্ডী প্রাণীদের কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রটি নিরেট।
9. কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রটি কোন্ প্রাণীদের ফাঁপা ?
উঃ মেরুদন্ডী প্রাণীর কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রটি ফাঁপা।
10. স্নায়ুতন্ত্রের গঠনমূলক উপাদানগুলি কি কি?
উঃ কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র ও প্রান্তীয় স্নায়ুতন্ত্র।
11. স্নায়ুতন্ত্রের কার্যমূলক উপাদানগুলি কি কি?
উঃ সোমাটিক স্নায়ুতন্ত্র ও অটোনমিক বা স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্র।
12. স্নায়ুতন্ত্রের গঠনমূলক এবং কার্যমূলক একক কি?
উঃ নিউরোন।
13. স্নায়ুকোষ বিভাজিত হয় না কেন?
উঃ স্নায়ুকোষের সেন্ট্রোজোম নিষ্ক্রিয় হওয়ায় স্নায়ুকোষ বিভাজিত হয় না।
14. স্নায়ুকোষের অপর নাম কি?
উঃ নিউরোন।
15. স্নায়ুকোষের কোষ দেহকে কি বলে?
উঃ নিউরোসাইটন।
16. স্নায়ুকোষের মৃত্যুর পর তার স্থান কে দখল করে?
উঃ নিউরোগ্লিয়া।
17. নিউরােনের দীর্ঘ প্রবর্ধককে কি বলে?
উঃ অ্যাক্সন।
18. নিউরােনের ক্ষুদ্র ও শাখাযুক্ত প্রবর্ধককে কি বলে?
উঃ ডেনড্রন।
19. ডেনড্রাইট কাকে বলে?
উঃ ডেনড্রনের প্রতিটি শাখাকে ডেনড্রাইট বলে।
20. সােয়ান কোষ কোথায় অবস্থিত?
উঃ মেডুলারি আবরণ এবং নিউরোলেমার মধ্যে।
21. মানুষের সুষুম্নাকাণ্ডের কয়টি খণ্ডক থাকে?
উঃ 31 টি
22. গুরু মস্তিষ্কের বাহির্দেশে অবস্থিত খাঁজ ও ভাঁজগুলিকে কি বলে?
উঃ গুরু মস্তিষ্কের বাহির্দেশের ভাঁজগুলিকে জাইরাস এবং খাঁজগুলিকে সালকাস বলে।
23. একটা সংজ্ঞাবহ স্নায়ুর উদাহরণ দাও।
উঃ অলফ্যাক্টরি স্নায়ু( ১ ম করোটি স্নায়ু), অপটিক স্নায়ু ( ২য় করোটি স্নায়ু), অডিটরি স্নায়ু ( অষ্টম করোটিক স্নায়ু)
24. একটি চেষ্টীয় স্নায়ুর উদাহরণ দাও।
উঃ স্পাইনাল অ্যাকসেসরি ( একাদশ করোটি স্নায়ু) এবং হাইপোগ্লসাল ( দ্বাদশ করোটি স্নায়ু) প্রভৃতি হলো এরকমের স্নায়ু।
25. একটি মিশ্র স্নায়ুর উদাহরণ দাও।
উঃ ভেগাস ( দশম করোটি স্নায়ু), ফেসিয়াল ( সপ্তম করোটি স্নায়ু)
26. দুটি নিউরােনের মিলনস্থলকে কি বলে?
উঃ সাইন্যাপস।
27. দুটি নিউরােনের মিলনস্থলে যে সূক্ষ্ম ফাঁক থাকে তাকে কি বলে?
উঃ সাইন্যাপস।
28. দুটি নিউরােনের মিলন স্থলে যে তরল থাকে তাকে কি বলে ?
উঃ নিউরোহিউমোর।
29. অ্যাসিটাইল কোলিন কোথায় অবস্থিত?
উঃ সাইন্যাপটিক নবের মধ্যে।
30. বিজ্ঞানী প্যাভলভ প্রতিবর্ত ক্রিয়াকে কি কি নামে ভাগ করেছেন?
উঃ প্যাভলভ প্রতিবর্ত ক্রিয়াকে দু ভাগে ভাগ করেছেন
যথা: 1. সহজাত বা শর্তবিহীন প্রতিবর্ত ক্রিয়া।
2. অভ্যাসগত বা শর্তাধীন প্রতিবর্ত ক্রিয়া।
31. চোখে হঠাৎ উজ্জ্বল আলাে পড়লে চোখ দুটি তৎক্ষণাৎ বন্ধ হয়ে যায়—ইহা কি ধরনের প্রতিবর্ত?
উঃ সহজাত প্রতিবর্ত ক্রিয়া।
32. শিশুদের হাঁটতে শেখা—কি ধরনের প্রতিবর্ত?
উঃ অভ্যাসগত প্রতিবর্ত ক্রিয়া।
33.ব্যাঙের শিকার ধরা—কি ধরনের প্রতিবর্ত?
উঃ জটিল প্রতিবর্ত ক্রিয়া।
34. C.N.S. এর পুরাে নাম কি?
উঃ Central Nervous System ( কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র)।
35. C.S.F এর পুরাে নাম কি?
উঃ Cerebro Spinal Fluid
36. মস্তিষ্কের আবরণীর নাম কি?
উঃ মেনিনজেস।
37. মস্তিষ্কের গহ্বরকে কি বলে?
উঃ নিলয় বা ভেন্ট্রিকল।
38. মস্তিষ্কের গহ্বরে যে রস থাকে তাকে কি বলে?
উঃ মস্তিষ্ক সুষুম্না রস বা Cerebro Spinal Fluid
39. মস্তিষ্কের কোন অংশ মস্তিষ্কের অন্যান্য অংশের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে?
উঃ লঘু মস্তিষ্ক বা সেরিবেলাম।
40. গুরু মস্তিষ্কের গােলার্ধদ্বয়ের সংযােজক কোনটি?
উঃ করপাস ক্যালোসাম।
41 লঘু মস্তিষ্কের গােলার্ধদ্বয়ের সংযােজক কোনটি?
উঃ ভারমিস।
42. মানুষের করােটিয় স্নায়ু কত জোড়া?
উঃ 12 জোড়া।
43. মানুষের সুষুম্না স্নায়ু কত জোড়া?
উঃ 31 জোড়া।
44. ব্যাঙের করােটি স্নায়ু কত জোড়া?
উঃ 10 জোড়া।
45. স্ক্লেরা কোন অঙ্গে পাওয়া যায় ?
উঃ চোখে।
46. মানবদেহের সবচেয়ে দীর্ঘ স্নায়ুর নাম কি?
উঃ সায়াটিক স্নায়ু।
47. মানুষের সুষুম্নাকাণ্ডের দৈর্ঘ্য কত?
উঃ 18 ইঞ্চি।
48. মেনিনজেসের স্তরগুলি কি কি?
উঃ মেনিনজেস তিনটি স্তর নিয়ে গঠিত স্তর গুলি হল- ডুরা ম্যাটার , অ্যারাকনয়েড ম্যাটার এবং পায়া ম্যাটার ।
49. সুষুম্নাকাণ্ডের কোন্ অংশে ধূসর এবং কোন্ অংশে শ্বেত বস্তু অবস্থিত?
উঃ সুষুম্না কান্ডের ভেতরের অংশ ধূসর এবং বাইরের অংশে শ্বেত বস্তু অবস্থিত ।
50. মস্তিষ্কের ক্ষেত্রে ধূসর এবং শ্বেতবস্তু কোথায় অবস্থিত?
উঃ মস্তিষ্কের বহির্ভাগে ধূসর বস্তু এবং অন্তর্ভাগে শ্বেত বস্তু অবস্থিত।
ইন্দ্রিয়স্থানের অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
1. কোন্ প্রাণীতে চক্ষুবিন্দু দেখা যায় ?
উঃ ইউগ্লিনা, প্লানেরিয়া।
2. কর্ষিকা কোন কোন প্রাণীর জ্ঞানেন্দ্রিয় ?
উঃ শামুক এবং একনালীদেহী প্রাণীদের কর্ষিকা জ্ঞানেন্দ্রিয়।
3. ট্যাকটাইল রােম কোন্ প্রাণিদেহে অবস্থিত?
উঃ আরশোলা।
4. দর্শনেন্দ্রিয় কোন্টি?
উঃ চোখ।
5. চক্ষুর কয়টি স্নায়ুস্তর থাকে ?
উঃ সাতটি।
6. চক্ষুর কোন্ স্তরে বস্তুর প্রতিবিম্ব গঠিত হয়?
উঃ রেটিনায়।
7. রড ও কোন্ কোষ কোথায় অবস্থিত?
উঃ রেটিনায় অবস্থিত।
৪. রেটিনার রড কোষের সংখ্যা কত?
উঃ রেটিনার রড কোষের সংখ্যা কত প্রায় সাড়ে এগারো কোটি।
9. কর্ণের ভারসাম্য রক্ষাকারী অঙ্গটি কি ?
উঃ অটোলিথ।
10. চক্ষুর কোন অংশ তারারন্ধ্রকে ছােট ও বড় হতে সাহায্য করে?
উঃ আইরিশ।
11. যে ছিদ্রের মাধ্যমে চোখে আলাে প্রবেশ করে তাকে কি বলে?
উঃ তারারন্ধ্র বা পিউপিল।
12. রেটিনার কোন্ কোষের সংখ্যা কত?
উঃ রেটিনার কোন্ কোষের সংখ্যা প্রায় 65 লক্ষ।
13. রড কোষে কি রঞ্জক থাকে?
উঃ রোডপসিন ( rhodopsin).
14. কোণ কোষে কি রঞ্জক থাকে?
উঃ কোণ কোষে আইডপসিন এবং সায়ানপসিন নামক বেগুনি ও নীল রঙের রঞ্জক থাকে।
15. কোন্ প্রাণীর একনেত্র দৃষ্টি দেখা যায় ?
উঃ ব্যাঙ, গরু, ঘোড়া ইত্যাদি।
16. কোন্ প্রাণীর দ্বিনেত্র দৃষ্টি দেখা যায় ?
উঃ মানুষ, বানর, বাঘ , বাজপাখি , পেঁচা ইত্যাদি।
17. শ্রবণেন্দ্রিয় কোন্টি?
উঃ কান বা কর্ণ।
18. কর্ণের একটি কাজ শ্রবণ, অপরটি কি?
উঃ দেহের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ।
19. মধ্যকর্ণে অবস্থিত অস্থি তিনটি কি কি?
উঃ মেলিয়াস, ইনকাস, স্টেপিস।
20. আমাদের দেহের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম অস্থি কোনটি?
উঃ স্টেপিস।
21. শ্রুতি-গ্রাহক যন্ত্র বা কর্টিযন্ত্র কোথায় অবস্থিত?
উঃ ককলিয়ার মধ্যস্থ ব্যাসিলার পর্দার উপর।
22. অটোলিথ কোথায় অবস্থিত?
উঃ ইউট্রিকল ও স্যাকিউল মধ্যস্থ তরলে অবস্থিত।
23. ঘ্রাণেন্দ্রিয় কোনটি ?
উঃ নাসিকা বা নাক।
24. নাসিকার কোন্ অংশটি ঘ্রাণ গ্রাহকরূপে কাজ করে?
উঃ বাইপোলার স্নায়ুকোষ বা অলফ্যাক্টরি কোষ।
25. কর্ণ থেকে কোন্ স্নায়ু শব্দ অনুভূতি মস্তিষ্কে বহন করে?
উঃ অলফ্যাক্টরি স্নায়ু।
26. কোন কোষ অন্ধকারে দেখতে সাহায্য করে?
উঃ রড কোষ।
27. স্বাদেন্দ্রিয় কোনটি ?
উঃ জিহ্বা বা জিভ।
28. কোন্ স্বাদ জিহার সর্বাংশে গৃহীত হয় ?
উঃ তিক্ত বা তেতো।
29. স্পর্শেন্দ্রিয় কোনটি?
উঃ ত্বক।
30. আমাদের ত্বকে কি কি গ্রন্থি থাকে?
উঃ স্বেদ গ্ৰন্হি এবং ঘর্ম গ্ৰন্হি।